সকল পশুর চেয়ে মানুষ পশুই খারাপ,
এরা মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা করে।
অহল্যার মতো নিষ্পাপ থেকেও আজ আমি অভিশপ্ত
কারন আমার বেকারত্ব।
আর এর চরম মূল্য দিতে হয় প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে,
অশিক্ষিতরাও জ্ঞান দেয় এসময় বি,এ; এম,এ পাশ বেকারকেও
নীরবেই সহ্য করতে হয় তা।
রুধিত হৃদয়, নীচু মাথা, তাদের বুঝি পৈশাচীক আনন্দ দেয়,
বাবা-মার কাছে এখন আমি অপাউক্তেয়
মা মাঝে মাঝে বলে মরতে পারিস না তুই-
বাবা বলে, আর কত দিন? আর কত?
বুড়ো বাপের ঘাড় ভেঙ্গে খাবি, লজ্জ্বা হয় না তোর!
আমি মহাদেবের মতো নীল কন্ঠ নই-
নীলবর্ণ হয়ে গেছি হাজার প্রশ্ন বাণে।
মৃত্যুর যন্ত্রণাও আজ তুচ্ছ আমার কাছে।
সমাজের মানুষ, মানুষকে মাপে,-
ধন-সম্পদ আর প্রতিপত্তির দ্বারা।
ভালো চাকরিই তাদের মানদন্ডের বড় মাপকাঠি।
এভাবেই চলে সময়ে প্রহসণ, জীবনের গতি-
বাকি থাকে শুধু, মৃত্যুর কাছে শেষ সমার্পণ,
তারপর; সব গতি মন্থর হতে হতে-
নীরব হয় এক সময়।