সেদিনো আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ ছিল
ছিল জোনাকীর মিটমিট আলোকসজ্জা
শুকতারা সেদিন উজ্জ্বল ছিল ভারী
শান্ত অবয়বে ছিল না কোন আহাজারি


আলতা রাঙা নুপুরের ছন্দ তোলা পায়ে
আলতো আলতো সুরে তুমি এলে
তোমাকে যে বসতে বলব
সে জ্ঞানটুকু হারিয়ে ফেলি তব পানে চেয়ে


কি অপরুপ বদন আভা
দূত্যি ছড়ানো যেন জলন্ত লাভা
লোহিত লাল ঠোটে যেন পদ্মকমল ফোটে
কপালে টিপ যেন কোজাগরী প্রদীপ


মৃদু হেসে আপন হরষে
বসিলে আসনে আমারি পাশে
শত প্রশংসা তব তরে
মোর কণ্ঠে এসে ফিরে বারে বারে


কোন মিছে সংশয়ে কিংবা ডরে
সকলি যায় ফিরে আপনার তরে
কিছু না কহিয়া কি যেন ভাবিয়া
হাত খানি তব ধরিলাম সপিয়া


বাকা ঠোটে তব হাসি ছিল বটে
আড় চোখ যেন গীত রচিয়া চলে
নচেৎ ভাবিয়া আবেগী করিয়া
ভরিলা হৃদয় চুমিয়া চুমিয়া


হঠাৎ থমকি কি যেন জানকি
উঠিলা চপলা সময় পরখি
হাসি খানি মলিন হল
নেত্র খানি তোর জোয়ারে ভাসিল


বলিলা কাদিয়া, ওরে ও বন্ধুয়া
আজিকেই মোদের শেষ হল দেখা
বাপজান মোর নিকা রাখিল কাল
দূর গ্রামে বশত, গঞ্জে যার তামাল


আকাশ খানি ভাঙ্গিয়া পরিল
বসুমতী  বুজি দুইভাগ হইল
কি হেতু তুমি আমারে সুধাও
পলাতে চল এখুনি লও


বাপজান মোরে দিয়াছে কিরা
বিয়া না করিলে দেখিব তারে মরা
আপন সুখ ত্যাগী চলিলাম বিবাগী
পারো যদি ক্ষেমা করিল বৈরাগী


এই বলে সেই গেল মোর রায়
একবারো না দেখিতে তারে পাই
বৈরাগী বলে শেষ ডাকিছে মোরে
বৈরাগী হয়ে তাই ফিরি দেশান্তরে।