আজো দূর আকাশে চন্দ্র হাসে
দূর গগনে শুভ্র মেঘের ভেলা ভাসে।
ওই দাড়িয়ে থাকা কদম তরু
আজো বরষার পুষ্পে হাসে।


আজো বসন্তে সে কৃষ্ণচূড়ার লোহিত ডালে
কোকিল গায় গান আপন সুরে।
রাখালিয়া বাশি আজো কানে আসি
হৃদয়ের কোনে হেন আনমনে
জাগাই আশি।


চোখের পলক যতকদূরে যায়
সোনালী ধানের চকচকে রূপে হায়
কি যেন দূতিকায় নিজেকে হারায়।


আজো গোয়ালীর হাতে বাছুরে
বাড়িছে কেমন পরম আপনে।
আজো কুমারের হাতে কারুকাজ
মাটিরে দেয় কত আকৃতি সাজ।


আমার মাতে পল্লী জননী
এখনো সমান যৌবন রূপসী।
সদা সবুজ তার অঙ্গে জড়ানো
আমার বাংলায় এখনো অজস্র
হিরে মানিক রত্ন ছড়ানো।