তুমি আসি'লে যেদিন;
যেদিন প্রথম চিৎকারে
জানান দিলে আগমনীর।
বাতাসে অনুরণিত হলো অযুত-লক্ষ আশার বাণী।


তোমার বাম পায়ের আঘাতে
প্রকম্পিত হলো আতুর ঘরের নড়বড়ে চালা।
কে জানতো?
ডান পা'য়ে তুমি বন্ধুর পথে  প্রস্তর হেঁটে
জয় করবে পৃথিবীর পথ!


তোমার এক হাতে কর্মযজ্ঞের ছড়ি,
অন্যহাতে কাব্যজয়ী মসী।
প্রিয়সীর জমিনে বিধেঁ থাকা স্বরলিপি তুলে এনে
তুমি গেয়ে ওঠো ক্লান্তি বিনাশী গান,
যাদের কথা কেউ বলে না-
লিখে চলো সেই বঞ্চিত প্রাণের আখ্যানলিপি।
দুর্ভাগা কোনো চাষার ক্ষুধার প্রচেস্টার লাঙলে তুলে আনা দু'ফালি মাটির উর্বরা-প্রাণ।


সেদিন বুঝিনি!
কেনো করুণ আর্তনাদে, কান্নার বেদনায়ও
মনখোলা হাসিতে হেসেছিলো তোমার মায়!
কেন রাজটিকা চুম্বন এঁকে দিয়ে বলেছিলো;
মুক্ত করে দিলাম তোরে মাতৃ ঋণের দায়,
আজিকের এ ফুল বাগিচায়-
সকলের হয়ে ফুঁটবি তুই- শত শত রজনীগন্ধায়।।


     কবির জন্ম দিনে-
তাং-02/02/2017