সুতোয় বোধহয় টান পড়বে ---
মাথা নাড়িয়ে জেগে উঠছে দশ বছর আগের পুরনো রোগটি।
আমার চিরনিদ্রার স্থানটি প্রস্তুত করো --
স্কুলের পূর্ব পাশে, বাতাবী লেবু বাগানে --
মাটির নীচ থেকে শুনতে পাই যেনো পথচারীর পদধ্বনি
কোমলমতি শিশুদের হৈ-হুল্লোড় --
মক্তবের শিশুদের কোরআন তিলাওয়াত।
কর্মহীন হয়ে যাওয়া হাত এবং পা-টি বেঁকে আসে
ব্যথা করে হাড়ের সাথে মিশে থাকা মাংসে ---
চলে যাওয়াটাই বোধহয় সর্বোত্তম হবে --
প্রস্তুতি চলছে আরশে আজিমে।
হাত-পা পুরোপুরি কর্মহীন হয়ে --
নির্ভরশীল হতে চাইনা স্বজনদের উপর ---
দ্যাখতে চাইনা সর্বদা তাচ্ছিল্যতার তপ্ত দুপুর।
প্রস্থানোদ্যত কালে এসো --
শিয়রে বসে মুচকি হাসি হেঁসো --
পারলে লুকিয়ে লুকিয়ে একটু ভালোবেসো।
অভিসম্পাত করিওনা মিথ্যে আশ্বাস মনে করে --
আরশ পানে দু'হাত উঠিয়ে --
অভিযোগ করিওনা নষ্ট জীবন আর স্বপ্ন খুনের --
তুমি যদি আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করা-ও --
কক্ষনো আমার মুক্তি মিলবে না --
দাউদাউ করে পুড়তে হবে জাহান্নামের অগ্ন্যুৎপাতে।
যৌবনে যদি যাই জগৎ ছাড়ি --
বান্ধি যদি নির্জনে বাড়ি --
তোমরা দুটি ভাই --
তোমাদের নির্মল বুকে দিও কন্যকাদের ঠাঁই।
বাবা-র আদর-আহ্লাদে করিও বড়ো --
বলিওনা কভু আপদ, চোখের সামনে হতে সরো --
ছায়া দিও হয়ে ছাতা, দ্যাখে যেনো শান্তি পাই তোমাদের ভ্রাতা।
সর্বাগ্রে দিলাম স্রস্টার কুদরতি হাতে সঁপি --
তারপর সঁপিলাম তোমাদের চার হস্তে --
যতনে আগলে রাখিও প্রশস্ত বক্ষে।
কখন যে পৃথিবীর দানা শেষ হয়ে পড়শীর কাঁধে যাই চড়ে
অজান্তেই বেরিয়ে আসে জল --
তোমরাই আমার শক্তি, তোমরাই আমার বল --
আগলে রাখিও বক্ষে জীবনভর।
বেঁচে থাকার আশা ফুরিয়ে এসেছে --
সমস্ত হৃদয় জুড়ে বাস নিরাশার ---
চিরাচরিত নিয়মে যদি পড়ি বাঁধা --
জড়িয়ে দিবে কাপড় ধবধবে সাদা।