তোমাকে নিয়ে একটি রোমান্টিক কবিতা লিখতে
কতোবার জড়ো করেছি বর্ণমালা
হয়তো মহেঞ্জোদারোর শেকলের চেয়েও লম্বা হবে।
বুকের ভিতর ক্ষত থাকলে, রক্ত ঝরলে -
অমানিশার কালো অন্ধকারের মতো ভুতুড়ে পরিবেশ থাকলে
কবিতা তার মোড় ঘুরিয়ে নেই।
তোমাকে নিয়ে লিখা কবিতার বর্ণমালা গুলো রক্তে ভেজা ছিলো বলে রোমান্টিকতা পায়নি
হৃদয় ছোঁয়নি প্রজন্মের।
কবিতায় আমি রোমান্টিকতার প্রলেপ দিতে পারিনা
বলতে পারিনা "তুমি যদি বলো পৃথিবীর সমস্ত জল এক চুমুকে পান করে নেবো"
তোমার প্রতীক্ষায় এক কোটি বছর একপায়ে দাঁড়িয়ে রইবো।
হয়তো তারজন্যই আমার লেখাগুলি কবিতা হয়ে উঠেনা
হয়তো তারজন্যই হৃদয় ছুঁয়ে খুশবো ছড়াতে পারেনা।
ব্যথাতুর আর ভগ্নহৃদয়ে কি রোমান্টিকতা আসে
সর্বক্ষণ তীর ভাঙে বিরহের ছলাৎছলাৎ ঢেউ!
কিছু বিরহী আর প্রতিবাদী শব্দ জড়ো হয়ে বলে
এদের কাগজে বন্দী করে কবিতায় রূপ দিতে
খুব দক্ষভাবে ওরা দখল নেয় তোমাকে নিয়ে লিখতে যাওয়া রোমান্টিক কবিতাগুলো
স্বৈরাচারীর মতো আঁকড়ে বসে রোমান্টিক কবিতার ঘাড়ে।
খুব বেহায়া বিরহী আর প্রতিবাদী শব্দগুলো
রোমান্টিক শব্দেরা প্রতিবাদ, অবরোধ করার পরও ছাড়তে চায়না
তেড়ে এসে ঘাড়ে বসে।