তোমাদের কঠিন, নির্মম, নির্দয় হতে হবে
ওঁরা ইটপাটকেল ছুঁড়লে তোমরা ছুঁড়বে গুলি
প্রয়োজনে উড়িয়ে দেবে তাঁদের মাথার খুলি।
মানচিত্র এবং পতাকা ছুঁয়ে না-ও শপথ
রক্তে রাঙিয়ে দিবে অলিগলি, রাজপথ।
আঙুল তুলে, চোখ রাঙিয়ে যদি দেয় কেহ হুংকার
যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিবে কারবালা কিংবা লঙ্কার।
তোমাদের অস্ত্র দিয়েছি,গুলি দিয়েছি,শিখিয়েছি প্রশিক্ষণ
অতন্দ্র প্রহরীর মতো থেকো সর্বদা বিচক্ষণ।
রক্তাভ চোখে কেউ যদি করে আমার বিরুদ্ধাচারণ
প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে করিও তাঁর প্রাণ হরন।
পৈতৃক সূত্রে পেয়েছি এই চেয়ার, তোমরা করবে টেককেয়ার
উপচে দেবো তোমাদের তরে হৃদয়ে আছে যতো পেয়ার।
ধরে রাখতে ক্ষমতা,পাকাপোক্ত রাখতে গদি
আমাদের আত্মার আত্মীয়,পরম বন্ধু মুদি।
দাদাদের কাছে বারবার নত করবো এই শির
দাদা ছাড়া সুনসান, নীরব আমার নীড়।
প্রতিমাসে দিচ্ছি বেতন, করতে আমার যতন
তোমরা আমার হীরা-চুনি-পান্না, মানিক-রতন।
পেরিয়ে অনেক চড়াই-উৎরাই বসেছি মসনদে
মিছিল-মিটিং,অবরোধকারী বিরোধীদের পিটিয়ে ফেলবে খাদে।
যাঁরা নিতে আসবে পাঙ্গা, বাধাতে আসবে দাঙ্গা
তাঁদের লোহিত রক্তে বুড়িগঙ্গা হবে রাঙা।
আমি দুর্দমনীয়, গতি আমার দুর্বার
ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় আসবো বারবার।
খাও তোমরা মণ্ডা, মিঠাই, তেঁতুই
প্রশাসন আমার হাতের মুঠোই।
দ্রোহ করতে যদি ছাড়ো বাড়ি,দ্যাখবে রাস্তায় লাশের সারি
ঘরের ছেলে ফিরতে বাড়ি,স্টেশনে মিলবে না গাড়ি।
বুনতে চেয়েছিলো দ্রোহের দানা --
ছারখার করেছি পিলখানা।
বাংলার আকাশে উড়তে চেয়েছিলো শকুন
রাজনীতির মারপ্যাঁচে ক্যামনে মেরেছি,ইতিহাস খতিয়ে দ্যাখুন।