আকাশের এক টুকরো মেঘ, তুমি তাদেরকে ব'লে দিও
তাদের সভ্য সমাজে বাস করার একদম ইচ্ছে নেই
যাঁরা সাহিত্য বুঝে-না, যাঁরা কবিতা বুঝে-না
তারা একজন কবিকে কিভাবে বুঝবে।
আমি মুখ ফিরিয়ে নিলাম তাদের সভ্য সমাজ থেকে
আমি আমার পৃথিবীতে আমার মতো করে বাঁচতে চাই
শব্দের ক্ষেতে কবিতা চাষে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে চাই
আমি চাষা হতে চাই কবিতার।
ওঁরা অভিযোগ এনেছে কবি এবং কবিতার বিরুদ্ধে
আমি নাকি তাদের অসভ্য, মূর্খ আর গেঁয়ো ব'লে অভিহিত করেছি।
আমি উন্মাদ, আমি পাগল
আমি মানি না সমাজ, মাতবর, সমাজের আইন
আমি পদদলিত করি সব ---
আমি সমুদ্র হিল্লোলের তালে কবিতা লিখি
নিজের ইচ্ছে মতো শব্দ গাঁথি।
কবিতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে, সব মূর্খের দল সালিসি বসিয়েছে
বিচারক সেজেছে তারা, যাঁরা "ক" লিখতে ভাঙে কলম
কোথায় লাগাবে মলম?
যাদের হৃদয় আর মস্তিষ্কে ধরেছে পচন।
কবিতা, ভাবছি তোমাকে বিদায় জানাবো
নাহয় আমৃত্যু পর্যন্ত তোমাকে ধারণ করবো
এই সমাজ গ্রহণ করতে চায়না তোমায়
যাঁরা তোমাকে ভালোবাসে --
তারা তোমার স্রষ্টাকেও ভালোবাসে
আর যে সমাজ তোমাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে
সেই সমাজকে আমি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তোমাকে সৃষ্টি করি।
ঈশ্বর স্বয়ং নিজেও কবিতা প্রেমী
ঈশ্বরের বাণীগুলো যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ো
তাহলে মনে হবে ঈশ্বর কবিদের কবি,মহাকবি
কৈ! কেউ তো ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সালিসি করেনি
বোর্ড মিটিং করেনি তার কবিতার বিরুদ্ধে -
কেউ তো অভিযোগ আনেনি ঈশ্বর বিদ্রোহী, সমাজদ্রোহী।
এখন পৃথিবীর ক্রান্তিকাল
সত্যকে সত্য বলে টিকে থাকা খুব কঠিন
তীব্র গতিতে ভেসে আসে সমালোচনার ঝড়
জ্ঞানহীন মূর্খের জানোয়ারের মতো হুংকার।
আমি সত্যভ্রষ্ট কবি নই
মিথ্যের উদর ছিঁড়ে সত্যের মশাল হাতে লয়ে জন্মেছি
এই পৃথিবীকে সত্যে উদ্ভাসিত করবো বলে।
আমি কবিতায় বলেছিলাম
ওঁরা বর্বর, নির্মম, নির্দয়, নির্বোধ --
জিহবার আঘাতে মন্দির ভাঙে
নৃত্য করে ভাঙা মন্দিরের পলেস্তরার 'পর দাঁড়িয়ে।
আমি কবিতায় বলেছিলাম
ওঁরা অশিক্ষিত, মূর্খ, জ্ঞানহীন, অর্থলোভী
আমি পদদলিত করি তাদের সৃষ্ট মানবতা বিরোধী আইন
আমি ছন্দের তালে নৃত্য করি তাদের পাঁজরের 'পর দাঁড়িয়ে।