তোমাকে কিনে দিয়েছিলো তোমার পছন্দের লাল, নীল, হলদে শাড়ি
শহরের বুকে তুলে দিয়েছে দ্বিতল বাড়ি --
স্বপ্ন পূর্ণতা দিতে প্রবাসে দিয়েছে পাড়ি।
পূর্ণ করতে মাতৃত্বের স্বাদ --
দ্যাখিয়েছো কতো ডাক্তার, খনকার, কবিরাজ --
মাথা ঠেকিয়ে চোখের জলে ভিজিয়েছো মুসল্লা
সুপারিশ করেছিলো রাসুলুল্লাহ।
মাতৃত্বের সাধ রাখেনি অপূর্ণ --
পুত্র সন্তান জন্ম দিয়ে হয়েছিলে ধন্য --
সম্পর্ক মধুর হয় যদি থাকে কিছুটা মনোমালিন্য
অনিন্দ্য সুন্দর, নিগূঢ় প্রেম, বাঁধানো ফ্রেম।
যাঁর সাথে জমিয়ে করেছিলে প্রেম
চুকিয়ে দিয়েছিলো জীবনের সব লেনদেন
কিচ্ছু করেনি সে তোমার সুখের তরে
ভীষণ যন্ত্রণায় জীবন দিয়েছিলো ভরে।
এখন হয়েছো যার সাথী, সুখদুখের বাতি --
সুখে রাখতে তোমাই,তপ্ত রোদে পুড়ে করছে কামাই
তোমার প্রেমিক হতো কি এমন জামাই --
রোজগারের সিংহভাগ কি কভু দিতো তোমাই।
শুনেছি মোখার মুখে --
ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত সময় করছো পার
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যেনো দূর করে আঁধার।
মাতৃত্বের স্বাদ নিতে না পারা নারীরা জানে --
নারীত্বের কি কষ্ট, সুন্দর জীবন পেয়েও যেনো জীবন নষ্ট ;
তাঁদের কাছে ---
নারী হয়ে জন্মানোটা বৃথা মনে হয় --
প্রতিদিন নতুন নতুন যন্ত্রণার হয় উদয়।
কতোটা ভালোবাসলে ---
একজন আরেক জনের কাছে আসা যায় --
নিঃশ্বাসের গরম হাওয়া গায়ে মাখিয়ে --
অতৃপ্ত কাম-বাসনা তৃপ্তিতে রুপান্তরিত করে --
একটি ফুটফুটে ছেলেপিলে গর্ভধারণ করে ভূমিষ্ট করা যায়।
এখন তাঁকে একদমই হজম করতে পারোনা
নামটা শুনলেই তিব্র জ্বর আসে --
তাঁর ঘাম ঝরানো রক্তমাখা পয়সা ফুটানি করে --
তাঁকে এখন ইগনোর করো,দলিত করো নির্মল হৃদয়।
নির্বোধ তুমি--
এখনো বাউণ্ডুলে প্রেমিকের স্মৃতি আঁকড়ে --
জীবনবল্লভকে আগ্নেয়গিরির আগুনে পুড়িয়ে নিজে পুড়ছো।
খোঁজ নিয়ে দ্যাখো সেই নির্দয়,নিষ্ঠুর প্রেমিকের
অদ্যাবধি মনে রেখেছে কি তোমায় --
শুনেছি সে নাকি এখন গাঁজার কল্কি চুমায়।
অনেক তো বলেছিলে প্রেমিককে --
নির্জন প্রান্তরে বাঁধতে নীড় --
তোমার কথায় সায় দিয়ে সে কি কখনো নেড়েছিলো তাঁর শির?
ছেড়ে পরমাসুন্দরী বধূ -হৃদয়ের ধন, মানিক-রতন
প্রবাসে যাচ্ছে খেটে, তোমাদের তরে --
কখনো ভেবে দ্যাখেছো ---
হাজারো মাইল দূর থেকে কি চায় একজন প্রবাসী স্বামী
রাশিরাশি দুঃখ ভুলতে প্রিয়তমার এক টুকরো শুভ্র হাসি
মিষ্টি মধুর সুরে নির্জনে, নিভৃতে কিছুটা প্রেমালাপন।
সে কার্পণ্য করেনি রক্তমাখা ঘাম ঝরাতে --
ক্লান্তিহীন খাটুনি সুখের ফুল ফোটাতে --
অথচ, তুমি কার্পণ্য করছো --
হাসিমুখে একটু প্রেমালাপ, প্রেমালিঙ্গণ করতে।