কলিজা কেটে দিয়েছিলাম রান
আঘাতে করেছিলে খানখান
শোন পেতে তোমার দুই কান
তবুও আজও গায় তোমার গান।
পরিয়েছো বিরহের মালা
বাড়িয়েছো মোর অন্তরের জ্বালা
আঘাতে আঘাতে সফেদ হৃদয় করেছো কালা
তবুও আমি পাই তোমাকেই ভালা।
মেঘের আড়ালে যখন লুকাতো সবিতা
বুকের উপর মাথা রেখে শুনাতে প্রেমের কবিতা
ভয় পেতে না নির্জন, নিশ্চুপ, নিঝুম নিশিতা।
আমি তোমাতে আসক্ত, অন্যকিছুতে বিরক্ত!
আমি তোমাতে পেয়েছি দুখ
তবুও আমি তোমাতেই খুঁজি সুখ
তোমার বিরহে হাহাকার করে মোর ব্যথিত বুক।
আমার চেয়ে বেশি যে দেবে সুখ
তোমার নীড় যেনো হয় তার বুক!
চেয়ে চেয়ে দ্যাখো যেনো তাঁর নির্মল সফেদ মুখ
আপন করে নিবো আমি চিরাচরিত দুখ।
যাও তুমি যাও, এসোনা আর কভু ফিরে
বেঁচে থাকাবো আমি তোমার স্মৃতি ঘিরে
আমার হৃদয়, অস্থিমজ্জা সে কাটুক ধীরে
বলবো না কোন এক বসন্তে এসো ফিরে।
আমার কলিজা ভুনা,ভরে-নি তোমার পেটের কোনা
অবশেষে, পেয়েছো তুমি খাঁটি সোনা --
তোমার বিরহে অঝোরে ঝরোক জল লোনা।
আমার কিশোরী মন করে আনচান
বেঁধেছো সুর,ধরেছো নতুন গান
তাঁকে নিয়ে কাটুক তোমার প্রহর সুনসান
আমার হৃদয়ে প্রতিরাতে আসুক বৈশাখী বান।
যদি কখনো মনে পড়ে হতভাগিনীর কথা
আকাশ পানে চেয়ে দ্যাখো কাটছি আমি ব্যথার সুতা
ভাঙতে পার-নি তুমি পূর্বপুরুষের প্রথা।
তোমার হৃদয়ের দরোজায় নাড়বো না আর কড়া
কি বিষ পিলায়েছো বেঁচে থেকেও যেনো মরা
তোমার জীবন হোক পুষ্পে ভরা, সুন্দর হোক ধরা
আমি বিরহিণী নিদ্রাহীন, তব বিরহে হৃদয় পোড়া।