বাতাস বইছে দখিনা,তালি বাজাও সখিনা!
মূর্খ কিনেছে শিক্ষিতের মাথা
ধুলোর স্তুপে জ্ঞানীর খাতা
ঐ দ্যাখো ঝরছে ক্যামনে কাঁঠাল পাতা।
আমি দ্যাখছি কালো, মূর্খ বলছে সাদা
পুরো সমাজ মিলে মূর্খকে দিচ্ছে বাহবার মালা
অহংকারে ভরপুর মূর্খের শূন্য থালা।
রাস্ট্রই করতে শেখেনি জ্ঞানীর কদর
সমাজ কি আর করবে আদর!
সমাজের গায়ে এখন পয়সার চাদর।
ছোট্ট থেকেই দ্যাখে এসেছে সখিনা
বাতাস ক্যামনে বইয়েছে উত্তর-দখিনা।
আজকের সমাজ পতিরা ক্যামনে গড়েছে সম্পত্তি
বলির পাঠা হয়েছিলো নিরীহ দম্পতি।
বাড়ছে হিংসা-বিদ্বেষ, উন্নয়ন, কমছে মানুষ
ক্ষুরধার তরবারীর চেয়েও ধারালো জিহবা
উড়ছে দ্যাখছে দুচোখ ভরে রঙিন ফানুস।
চারিদিকে অরাজকতা, অস্ত্র হাতে সন্ত্রাস
ক্যামন সমাজ গড়েছি মোরা, বন্ধ হয়ে আসে নিঃশ্বাস।
যখন ছিলো সখিনার বাপের পুকুর ভরা মাছ
গোয়াল ভরা গরু আর গোলা ভরা ধান
লাইন ধরতো মাতবরেরা খেতে এক খিলী পান।
পদ্মা একদিন গিলে খায় সব
সেই শোকে সখিনার বাবা হয় শব!
পাড়ার ছেলেরা সখিনাকে করলে জ্বালাতন
নালিশের ভাষায় মাতব্বরদের শুনিয়ে আসে কথন।
আসামী ছিলো মাতবরের পোলা
রাতের আঁধারে ভেঙে দেয় সখিনার চুলা!
ঘরের চালে ছুঁড়ে ঢিল, ডুকতে চায় ঘরে ভেঙে খীল
ঘরের কোনে বসে আল্লাহ আল্লাহ করতো সখিনার দীল।
দায় বর্তায় সখিনার কাঁধে
সখিনা নাকি চায় ছেলেদের ফেলতে ফাঁদে!
ছাড়তে হবে গাঁ
না ছাড়লে ভেঙে দেবে তার পা!
সখিনার বাবার ঘরে আড্ডা দিয়ে যারা খেতো পান
পেলো সখিনা সেই আপ্যায়নের প্রতিদান।
মনে মনে দিয়েছে সখিনা সমাজের বুকে লাথ
অর্থের পিছে ঘুরে সমাজ, খোঁজে জাতপাত।
মূর্খ মাতব্বরের মূর্খ ছেলে, কথা বলে পয়সার বলে
বাস্তহারা হলো সখিনা সর্বনাশী পদ্মার ঢলে।
প্রতিজ্ঞা করেছে সখিনা, আসবেনা আর ফিরে
বসতে যদিও দেয় তাকে সোনার পিঁড়ে!
শরাব পিকে ভাঙে পাতিল
উড়ে এসে জুড়ে বসে রাজ করে বাতিল!
উদাম গায়ে ঘুরে বেড়ায় সখিনার স্বপ্ন খুনের কাতিল।


২০/০৯/২৩ জুবাইল, সৌদি আরব