দিনরাত পরিশ্রমে গড়েছিলে সম্পত্তি
কখনো আহারে অনাহারে কাটিয়ে ছিলে দিন
নিজে উপবাস থেকে ভরিয়ে ছিলে সন্তানের উদর
হাত ধরে শিখিয়ে ছিলে চলা, বাচনভঙ্গি কথা বলা।


বুকের পাঁজরে চেপে রেখে পাড়িয়ে ছিলে ঘুম
কনকনে শীতে তুমি ছিলে সন্তানের ওম
সন্তানের সুখের কথা ভেবে, হারাম হালাল নাহি যাচে
দু'হাত ভরে করেছিলে রোজগার, বানিয়ে ছিলে ভোজনাগার।


পিতার রক্ত চোষে হয়ে বড়, পিতা থাকে ভয়ে জড়োসড়ো
পিতার খুনে রাঙিয়ে হাত, পিতৃভক্তিতে কাঁটায় রাত
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে পিতা, ভাসাতে চায় সুখের খেয়া
কোন মাটিতে সৃজন তোমার, মানুষ নামের জানোয়ার।


ইতিহাস খুঁজে পাইনি পিতার হাতে সন্তানের রক্ত
সন্তানের হাতে পিতার লোহিত রক্ত হরবখত
এমন সন্তান অভিশাপ পিতা-মাতার
অভিশাপ অভিশপ্ত পৃথিবীর।


চব্বিশ ঘণ্টা বদ্ধ ঘরে হেলাফেলা পিতার লাশ
চোখে মুখে নেয় পিতৃ হারানো শোক
সম্পত্তি নিয়ে সন্তানের কাড়াকাড়ি,
লাশের পাশে স্বামীহারা স্ত্রীর আহাজারি।


দ্যাখেছিল সবে কেমন সন্তান রেখেছিলে ভবে
সম্পত্তির রফাদফা না করে রাখবে না কবরের ঘরে
যদি করতে মানুষের মতো মানুষ, সম্পত্তির তরে হতোনা বেহুশ
শিয়রে বসে অশ্রুসিক্ত নয়নে গুনগুনিয়ে করতো কুরআন তিলাওয়াত।


পাশের ঘরে প্রতিবেশীর লাশ, নওজোয়ান সাজে নৃত্যের সাজ
পেয়ালা ভর্তি শরাব পিকে, নাচছে নওজোয়ান ঝুকে
এমন সমাজ গড়েছি মোরা, সবকিছু চলে উরাধুরা
তিড়িংবিড়িং নাচে বুড়া খিলখিলিয়ে হাসে।


দেশের গন্ডি পেরিয়ে জ্ঞান আহরণে যাচ্ছে বিদেশ
বড় বড় ডিগ্রি অর্জনে পাল্টাচ্ছে ভূষণ,
অন্তরাত্মায় সর্বক্ষণ অহংকার পোষণ
পাল্টাতে পারেনি হৃদয়ের ভূষণ, নির্বিচারে করে মজলুম শোষণ।


এমন সন্তান দিও না প্রভু, যে সন্তান বুঝে-না ব্যাথা কভু
বন্ধ্যা রাখিও চিরকাল, শুকরানা অভিযাচন করবো যৌবন, বৃদ্ধ, মৃত্যুকাল।


১৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২২
সৌদি আরব, জুবাইল