বাবা তোমাকে দেখিনা কতদিন হলো
শতসহস্র ক্রোশ দূর থেকে যখন শুনতে পাই
তোমার এই জরাজীর্ণ শরীরে
বাসা বেঁধেছে নানান রোগে
চোখ দিয়ে জল এসে গড়িয়ে পরে
মরুভূমির উত্তপ্ত বালির উপর।
আরশের মালিককে ডেকে বলি
তিনি যেন সুস্থতা দান করেন তোমাকে।


বাবা তোমাকে দেখিনা কতদিন হলো
তোমার আদর, স্নেহ, ভালবাসা গুলো
খুব মনে পড়ে বাবা।
এই মরুর দেশে রাগ করে না খেলেও কেউ বলেনা
তুই না খেলে আমিও খাব না
বাবা তুুমি খুব ভাল করেই জানতে
কিভাবে রাগ ভাঙাতে হয়
কিভাবে মুখে খাবার তুলে দিতে হয়।


বাবা তোমাকে দেখিনা কতদিন হলো
তুমি ছিলে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা টাও তুমি।
রাতে যখন পড়তে বসতাম
তুমিও জেগে থাকতে, চেয়ারের পাশ দিয়ে হাটতে
ঘুমের ঘোরে যখন আজেবাজে পড়তাম
তখন তুমি মাথায় হাত দিয়ে জাগিয়ে দিতে।


বাবা তোমাকে দেখিনা কতদিন হলো
খুব মনে পড়ে বাবা, খুব মনে পড়ে স্মৃতি গুলোকে
তোমার শিক্ষকতার জীবনে
কালবৈশাখীর ঝড়ও রুদ্ধ করতে পারেনি
তোমার স্কুলে যাওয়ার পথ।
ঝড়বৃষ্টিতে হাতে ছাতা নিয়ে তিন কিলোমিটার পথ
পায়ে হেঁটে পারি দিয়েছো,
গিয়ে উপস্থিত হয়েছো কর্মস্থলে।


বাবা তোমাকে দেখিনা কতদিন হলো
তোমার হাত ধরে হাটতে শিখেছি
কথা বলতে শিখেছি তোমার মুখে শুনে।
আজ তুমি বৃদ্ধ, বার্ধক্যে উপনীত
জরাজীর্ণ দেহে হাজারো রোগের বাস।
(সংক্ষিপ্ত)