অনেক চিন্তা তোমার,অনেকের দায়িত্ব কাঁধে
আমি মাঝেমাঝে অচেতন হয়ে
তোমাকে দায়িত্ব থেকে সরে আসতে বলি
ফিরে আসতে বলি কোন এক রূপালী তাঁরা ভরা রাতে।


ভুলে যা-ই তুমি আরেকজনের স্বপ্নদ্রষ্টা
নিখুঁতভাবে কাজ করে যাচ্ছো স্বপ্নপূরণের
কোন ক্লান্তি নেই, কোন বিশ্রাম নেই
পেছনে ফিরে তাকানোর সময়টুকুও নেই।


নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছিনা
এ-কি সেই তুমি?
একযুগ আগে যাকে কাক ডাকা স্নিগ্ধ ভোরে দেখে
আমার নিদ্রা টুটে ছিলো।


এখন তো তোমার অনেক কাজ, অনেক ব্যস্থতা
স্রস্টা জেগে থাকেন সৃষ্টির জন্য
তুমি তো স্রস্টা নও, তুমি দ্রষ্টা
তোমাকে তোমার নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে হবে।


গভীররাতে যখন তোমার স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ে
গিটারটা নিয়ে স্কুলের মাঠের এক কোনে বসে
সেই সুরটা বাজাতে চেষ্টা করি
যে সুরটা তোমার খুব প্রিয় ছিলো।


আমি তো ছিলাম একগুঁয়ে
তোমার কোন কথা শুনিনি, তোমার মতো চলিনি
তোমার স্বপ্ন পূরনে কাজ করিনি
মিথ্যে বুলি বুলিয়ে, বারবার ফিরিয়ে আনিতাম ঘরে।


থাকো না তুমি তোমার ব্যস্থতা নিয়ে, স্বপ্ন পূরন নিয়ে
কথা দিচ্ছি, আর কখনো বলবো না
রূপালী নক্ষত্রের তাঁরা ভরা রাতে
আমি অপেক্ষা করবো হেমন্তের ফসলের মাঠে।


আমার এই কথাগুলো তোমার আকাশে মেঘ জমে
অন্ধকার হয়ে আসে তোমার শহর
চেহারায় ভেসে উঠে বিরক্তের ছাপ
কাটা ঘায়ে লবন ছিটার মতো জ্বালাপোড়া করে।


তোমার এই কোলাহল পূর্ণ শহরে
কখনো যদি ভাঁটা পরে
খোঁজ করিওনা মোরে, অন্য কোন নতুন শহরে
খোঁজে নিও মোর অন্ধকারময় পুরনো শহরে।


এই বারোটি বছরে তুমি অনেকটা বদলে গিয়েছো
বদলে গিয়েছে আশা-আকাঙ্খা, চাওয়া পাওয়া
ভাবতে শিখেছো মানুষের জীবন নিয়ে
ভবিষ্যত নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে, সুখ নিয়ে, পরিচর্যা নিয়ে।


আর কখনো বলবো না
তোমার আলো ঝলসানো,পরিপাটি শহর ছেড়ে
আমার অন্ধকারাচ্ছন্ন শহরে ফিরে আসতে
এই শহরের চারপাশ বিষাক্ত নিকোটিনের ধোঁয়ায়।


তুমি তো স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বপ্ন পূরণ করা তোমার লক্ষ্য
স্বপ্ন পূরনে, পাদপদ্ম দ্বয়ের সিঁড়ির প্রয়োজনে
সিঁড়ি হয়ে অধমাঙ্গের নীচে রবো, সাপোর্ট দিবো পাদপদ্মকে
টুটিতে দিবো না তোমার স্বপ্নপূরণকে।