স্বর্গে ইমারত বানাতে তোমরা কিনো
ইট,পাথর,রড,সিমেন্ট এবং কংক্রিট
ইমারত সজ্জিত করো লাগিয়ে দামী মার্বেল পাথর
দাতার চাদর জড়িয়ে থাকে যেনো তোমাদের গতর।
আমি বাউণ্ডুলে নাহয় পুড়বো নরকের আগুনে --
আগের মতো আর ফিরে যাবো না কোন ফাগুনে
দাতার খাতায় নাইবা লিখালাম নাম --
নাইবা হলাম তোমাদের পথের পথিক।
নরকে আগুন জ্বালিয়ে জ্বলতে --
কুড়াচ্ছি আমি খড়কুটো --
তোমাদের দান, তোমাদের শক্তি --
পথের পাথেয়, যেনো মিলে তোমাদের মুক্তি।
মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি --
হৃদয় চায়না আর ফিরে যেতে --
যদি কখনো প্রতিবাদ করি নিন্দনীয় কাজের --
কণ্ঠনালী চেপে, মোর জিহবা দেবো কেটে।
প্রতিজ্ঞা করেছি চুপিসারে --
একলা এসেছি, একলা যাবো --
একলাই চলবো বাকী দিন ---
তোমাদের ভীড়ে, আমি কীড়ে, যাবো-না কোনদিন।
তোমাদের সমাজ, তোমাদের আইন --
চালিয়ে যাও অপকর্ম, ধর্মের নামে অধর্ম --
রাতদুপুরে যদিও ডাকে কাক --
গলাতে যাবো-না নাক।
সাজিয়ে তোলো মসজিদ, মন্দির, ঈদগা,গোরস্থান
আইন মানিনী বলে, দাফন করিওনা আমায় --
যদি করি কখনো প্রস্থান।
যে সমাজে সত্যের মাথা হয় ন্যাড়া --
সর্বদা হজম করতে হয় মিথ্যেবাদীদের প্যারা--
জ্ঞানহীন মূর্খদের ঘাড় থাকে ত্যাড়া --
সেই সমাজে সত্যের কথা বলা নিতান্তই অপরিণামদর্শিতা।
প্রয়োজনে চোখ রাঙিয়ে, শাসিয়ে --
উন্নয়নের জোয়ারে দাও ভাসিয়ে --
ভাঙবে না মোর দৃঢ় সংকল্প --
এখনো শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত --
করাতে পারবেনা মোর উর্ধ্ব শির নত।
সোনার পালকিতে চড়ে স্বর্গে গিয়ে --
সুখে শান্তিতে থাকো তোমাদের গড়া ইমারতে --
আমার নাইবা থাকলো কুঁড়েঘর --
নাইবা থাকলো খুপরি --
স্বর্গে ইমারত গড়তে পারিনি কামিয়ে নিতে উপরি।
সমাজ সাজিয়ে দাও সোনা মুড়িয়ে --
কিংবা ডুবিয়ে দাও নির্লজ্জতার অতলান্তে --
দ্যাখতে পাবেনা আমায় কোন প্রান্তে --
একাই হাঁটবো দিক হতে দিগন্তে।
সমাজের সবাই নর্তকী নাচিয়ে নৃত্য করুক --
কিংবা মসজিদ-মন্দিরে হুমড়ি খেয়ে পরুক
অবৈধ বসতি গড়ুক অন্যের ঝুপড়িতে --
আমি বিন্দাস আছি আমার কুঠরিতে।