কার এতো হিম্মত আছে
তোমাকে হৃদয় থেকে ঠেলে ফেলে
এই হৃদয়ের দখলদারিত্ব নিবে।
কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে লিচু গাছের নীচে বসে
তোমাকে নিয়ে ভাবি, কল্পনার বাসর রচনা করি
কার বুকের ছাতিম এতো শক্ত
আমার কল্পনা থেকে তোমাকে দূরে ঠেলে
আমার কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করে সম্রাজ্ঞী হবে।
কবির মন উন্মুক্ত, উদাস, জাগ্রত
কারও বশ্যতা স্বীকার করে না কবি
কবির পরান যা চায় তাই সৃষ্টি করে
যাকে ইচ্ছে হয় তাকে নিয়ে কল্পনা করে, সৃষ্টি করে।
চাঁদনী রাত, ঝলমলে আলো
বাঁশ বাগানের বাঁশ এই বুঝি ছুঁয়ে দিলো চাঁদকে
কলংকের শঙ্কা নেয়, হাসোজ্জল মুখ
তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভালোই লাগে
তাইতো সকাল থেকে সন্ধ্যা,
সন্ধ্যা থেকে গভীর রজনী অব্দি ভাবি।
মৃত্যুর শরাব যখন পান করবো
পৃথিবীর সমস্ত ঘুম যখন দুচোখের পাতায় নেমে আসবে
ক্লান্ত দেহ যখন মাটির বিছানায় পিঠ ঠেকাবে
তুমি তোমার হাসোজ্জল মুখ, পাখির নীড়ের মতো চোখ আর চাঁদের ফালির মতো ঠোঁট নিয়ে আমার মুখোমুখি বসিও
একটু ভালোবাসিও, বিদায়ের ক্ষণে ঠোঁটের সাথে ঠোঁটের মিলন ঘটিয়ে দিও।


বড়মুড়া, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২০ নভেম্বর ২০২১