পৌষের শেষ
কুয়াশার চাদরে ঢাকা পুরো দেশ
হাড়কাঁপানো শীত নাড়িয়ে দেয় ভিত।
কাক ডাকা স্নিগ্ধ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে
আমি অধম হাঁটতে থাকি গাঁয়ের মেঠোপথে।
গায়ে চাদর মুড়িয়ে, মাথায় লাগিয়ে কানটুপি
কুয়াশার চাদর ছিঁড়ে, যাচ্ছিলাম চায়ের কাপে চুমুক দিতে
হৈ-হুল্লোড় শুনে, পা ফেলছিলাম গুনে
কতিপয় যুবক খুন্তি কোদাল শাবল হাতে
করোনার কবর খুঁড়তে থাকেন বিরামহীন গতিতে।
ইউনুসকে জিজ্ঞাসা করেছিল পিপাসিত মন
মাঘের পূর্বেই বুঝি হবে করোনার চির দাফন
হেসেখেলে বলে শিপন, করোনার হবে না'ক কাফন
গাঁ-ওয়ালা শিরনী রাঁধতে, চুলা খুঁড়ছি ধরে কাস্তে।
শিপনের মুখে শুনে হারিয়ে গিয়েছিলাম পূর্বের ক্ষণে
পুরো গাঁও মিলে মসজিদের মাঠে হতো শিরনী
হাঁড়ি-পাতিল হাতে জোয়ান-বৃদ্ধ বসতো সাথে
নাম ডেকে ডোবানী দিতো ঝেকে।
এখন আর নেই একতা, পাড়ায় পাড়ায় সখ্যতা
কয়েক ভাগে বিভক্ত, ঐতিহ্য বিলুপ্ত।
গাঁয়ের মানুষের গায়ে অনেক জোর
সহ্য হয়না কথা
একের পর এক ভেঙে যাচ্ছে গাঁয়ের মানুষের একতা।