সিদ্ধি খেলে নাকি বুদ্ধি বাড়ে
এ কথা কেবল গাঁজাখোরেরা বলে
সমাজের আনাচে-কানাচে সিদ্ধির আসর বসিয়ে
প্রতিনিয়ত বুদ্ধিজীবী জন্ম দিচ্ছে।


এই বুদ্ধিজীবীরা সমাজের মধ্যমণি
অধিষ্ঠিত বিচারকের আসনে
স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিতে
ঘাপটি মেরে রয়েছেন বসে।


নেশার তীব্র ঘোরে-অপরাধীদের নিরপরাধ দেখে
নিরপরাধীদের অপরাধী সাজিয়ে
মাথা মুন্ডিয়ে-জুতার মালা গলায় পরিয়ে
মেল-মিটিংয়ের কাজ সমাপ্তি করে।


নেশার বিরুদ্ধে বললে কথা
তেড়ে আসে করতে ব্যাথা
খারাপের সাথে ভালো মিশে
জোট হয়ে যায় মহাজোটে।


কবে ভোর হবে, পুবের আকাশে নতুন সূর্য উঠবে
কবে জাগবে জাতির ঘুমন্ত সন্তানেরা
এই নেশার গাছ শিকড়সমেত উপড়ে
দুমড়ে-মুচড়ে, পিষে মাটির নীচে পুঁতে ফেলতে।


আমি যুবকদের জয়ধ্বনি করি
এ দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে
অনাগত প্রজন্মের লাগি-
এ পৃথিবী সাজাতে হবে তাদেরই।


তোমরা কর্ণধার এই সমাজের-ভবিষ্যত প্রজন্মের
জাতির মেরুদণ্ড-চলতে শিখো ক্ষুরধার স্রোতের মতো
এই নেশার পৃথিবী ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে
এক নতুন সূর্যোদয়ের বাসযোগ্য করে দাও।