কুয়াশার চাদর ধীরে ধীরে ভুবনেশ্বরকে ঢেকে দিচ্ছে
সাজিয়ে নিচ্ছে নিজের মতো করে
দক্ষ কারিগর খুব যত্ন করে জাল বুনেছে
বাতাবী লেবু গাছের এ ডাল থেকে ও ডালে
আটকে দিয়েছে জাল, আহারের ফাঁদ পেতেছে কারিগর।


গভীর রাতে যখন খাতা-কলম নিয়ে বসি
বাঁশ বাগানে, লেকের ধারে হঠাৎ চেচিয়ে উঠে খেঁকশিয়াল
হিমেল হাওয়ায় ভেসে আসে ঝিঁঝিঁপোকার গান
কখনো কাঁথাটা গায়ে মুড়িয়ে হাটতে থাকি খোলা আকাশের নীচে
বিড়বিড় করি মায়ের কবরের পাশে দাড়িয়ে।


হেমন্তের ফসল কাটা মাঠে বসেও
লিখতে পারিনি, পূর্ণ করতে পারিনি একটি কবিতা
অনেক যাতনা, বেদনা, ক্লেশ ভরা হৃদয়ে যখন ঘরে ফিরি
বিছানার সঙ্গী কটুক্তি করে আমার কবিতা আর কবিত্ব নিয়ে।


কর্কশ কণ্ঠে জানতে চায়
কোথায় ছিলাম এতোক্ষণ, কার লাগি রাত জাগি
কার বিহনে নিজেকে পুড়াই,
কেন হৃদয়ের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে তাকে এমন নিষ্ঠুর সাজা দেই
কিসের অভাবে জাগে না কামভাব, কেন গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে
এ সাজা তো তার প্রাপ্য ছিলো,
এ ছিলো তার নিজ হাত এবং মস্তিষ্কের কামাই
এই হৃদয় দরিয়ায় তার নাই কোন ঠাঁই।


তন্ত্র-মন্ত্রের জালে ফাঁসিয়ে
চেয়েছিল মোর জীবন তরী দিতে ভাসিয়ে
দয়া করেছিলেন দয়াল রাব্বানা
মোর মস্তিষ্ক হতে পারেনি শয়তানের কারখানা।


আমার সৃষ্টি তার কাছে খুবই নিকৃষ্ট, তামাশার বস্তু
উপহাসের খোরাক
সে হৃদয়ের চারপাশে ঘুরপাক খাবে
হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান নাহি পাবে।