শ্রাবণের এই পড়ন্ত বিকেলে এই সমুদ্র তীরে দাড়িয়ে তোমাকে একটি কথা দিচ্ছি
যা হিমালয়ের মতো অটল, ভারী এবং তাজিংডং এর মতো সুউচ্চ
আমি জানি আমার এ কথায় তোমার হৃদয় প্রশান্তি পাবে
আনন্দে তাতাথৈথৈ তাতাথৈথৈ নৃত্য করে বুকের চারপাশ ঘুরে বেড়াবে।
কথার মাঝখানে তোমাকে আর কখনো কথার মোড় ঘুরিয়ে নিতে হবেনা
মেঘলা আকাশের মতো ভারী করতে হবে না মুখ
আর কখনো দুচোখের জলে ভাসাতে হবেনা বুক
আমার এ কথায় তোমায় এনে দিবে চীর সুখ।
তুমি এটাই চাচ্ছো আমি নিজেকে গুটিয়ে নেই
আর কখনো না বলি এই প্রতিরোধের দেয়াল ভাংতে
শান্তির নিকেতন ছেড়ে আমার সাথে অরণ্যের বেলাভূমিতে ঘুরতে
আর কখনো না বলি এক দু কদম এগিয়ে গিয়ে হাতটি বাড়িয়ে দিতে।
আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আর কখনো এমনটি করে বলে মন খারাপের দেশে নিয়ে যাবো না তোমায়,
সেখানের বাতাসে হৃদয় পুড়া গন্ধ ভাসে
স্বপ্ন ভাঙার চিৎকার শ্রাবণের বজ্রাঘাতের মতো
স্বপ্নগুলো শঙ্খচিলের মতো উড়ে উড়ে পুড়ে যায় সূর্যের তাপে।
আমার কথাগুলো এতোটাই তিতে হয়ে যায় গলদ করন করতে পারনি
ঢেকুররের মতো এসে বেড়িয়ে যায়, বিবর্ণ হয় মুখ
মনে হয় কোন এক অসুখ তোমাকে আষ্টেপৃষ্টে ধরে রেখেছে
হঠাৎ হাসিমাখা মুখে বাজ পড়ে।