শরতের শেষে হাটিহাটি পায়ে হেমন্তের আগমন
তুমি বেনারসি শাড়ি পড়ে করেছিলে বরন!
আহ্ কতো চুম্বন,কতো সোহাগ হয়েছিল আস্তরণ।
সোনালী ধানক্ষেত, শিশির ভেজা দুর্বাঘাস
পাতিহাঁসের পায়ের ছাপ ঘাসের উপর
ঘুম নেই তোমার দুচোখে, রাত তখন দুপুর
তোমার নগ্ন দেহের উপর শুয়ে ছিলো সে হয়ে উপুড়।
হেমন্তেকে অনেকেই বলে হাসি-কান্নার ঋতু
তুমি হেসেছিলে আর আমি কেঁদেছিলাম!
চোখের জল গড়িয়ে গড়িয়ে পড়েছিল মদের গেলাসে
পান করেছিলাম মদ আত্মার বিলাসে।
এই রাতে তোমার নগ্ন নাভী থেকে যে ঘ্রাণ ছড়িয়ে ছিলো
পৃথিবীর দামী পারফিউমের ঘ্রাণ তুচ্ছ ছিলো
হেমন্তের বাতাস ভাসিয়ে নিয়ে এসেছিলো আমার গৃহে
আহ্! কি মাতাল হয়েছিলাম সেই রাতে পারফিউমের মোহে।
সালটা ছিলো দুই হাজার চৌদ্দ, তারিখটা তেরো-ই অক্টোবর
নাকে,মুখে, ঠোঁটে,বুকে চুমো দিয়েছিল তোমার বর।