বাবা একদিন আমাকে ডেকে বলেছিলেন
তাঁকে ছুঁয়ে একটি কথা দিতে --
ধনুক থেকে ছুঁড়া তীরের মতো বিঁধে ছিলো বুকে
তারপরও কথা দিয়েছিলাম পরম সুখে।
বাবার মুখে কখনো শুনিনি রূঢ়,কর্কশ ভাষা
পাশে বসিয়ে সুন্দর,সাবলীল,মধুমাখা কণ্ঠে বলেছিলেন!
এই সমাজে যদিও লাগে অপকর্মের মহামারী
সুপারি গাছের মতো যদি থাকে অপরাধীর সারি
   মিথ্যে যদিও তলিয়ে যায় পুরো সমাজ ;
        আমি যেনো প্রতিবাদ, প্রতিহত না করি
              পাথরের মূর্তির মতো করি অবলোকন।
বাবাকে কথা দেওয়ার সময় ঝড় উঠেছিল সমুদ্রে
গোলাপের পাপড়ি গুলো কেঁদে ছিলো নিভৃতে
পৃথিবী গোমড়া হয়ে ঢেকে গিয়েছিল আঁধারে
তারপরও কথা দিয়েছিলাম, যদিও দুমড়ে-মুচড়ে এসেছিল হৃদয়।


সমাজ ছেড়েছি বহুবছর আগে --
প্রয়োজনে মাতৃ সমতুল্য গাঁওটা-ও ছেড়ে দেবো!
তাতেও যদি সুখী নাহয় নির্বোধের দল
   তবে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বল;
       পৃথিবী ছেড়ে দেবো হেঁসে-হেঁসে,
            তোদের সুখ যেনো নাহি হয় বৃথা,নিষ্ফল।
পুরো সমাজ সাঁতার কাটুক মদের জলে -
মাদকাসক্ত হয়ে উপুড় হয়ে পড়ে থাকুক পথে-ঘাটে, মাঠে!
প্রতিবাদ করবো না, দেখবো নীরব চোখে।
গায়ের চাদর খোলে সমাজ হাটুক নগ্ন হয়ে
পথ চলবো চোখে কালো গ্লাস লাগিয়ে --
তারপরও বলবো না, বন্ধ করো এই পাপাচার
অনাগত প্রজন্মকে সুন্দর পৃথিবী দাও উপহার।
যতোবারই আমি অপকর্মের বিরুদ্ধে
দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে প্রতিবাদ করে প্রতিহত করেছিলাম
ততোবারই অবহেলার ধনুক থেকে কটুক্তির তীর ছুঁড়ে
ছেদন করেছিলো আমার নির্মল, সতেজ হৃদয়।


যদি নিভে যায় প্রদীপ,অকালে ঝরে যায় গোলাপ
নেমে আসে অমাবস্যার নিঝুম,নিগূঢ় অন্ধকার
তাতে আমার কি! আর হতে চাইনা প্রতিবাদী।