আমার নুন আনতে পান্তা ফুরাই
পেরিয়ে এসেছি অনেক চড়াই-উৎরাই
স্থান দিয়েছি হৃদয়ের মণিকোঠায় --
আমার মাঝে একদম নেই অহঙ্কারের বড়াই।
সাড়ে তিন হাত দেহ,একদিন এসে কাঁধে নিবে কেহ
পরের কাঁধে চড়ে পাড়ি দিবে যে দেহ ---
দাম্ভিকতার কীড়ে খায়না যেনো মোর মস্তিষ্ক --
হৃদয়ে যেনো নির্মাণ করতে না পারে দেয়াল অস্মিতা - আত্মাভিমান।
আপনাকে ভালোবাসি ব'লে-ই - নীরবে শুনি মন্ত্রমুগ্ধ পাঠ
আপনার হৃদয়ের কোমলতা বরফের মতো গলে মোর দাপ
তর্জনগর্জন-আত্মশ্লাঘা পাপ মহাপাপ ---
শেষ বিচারে ঈশ্বর করবে না আমায় মাফ।
আপনি চাষি ---
খাতার কাগজে শব্দ বুনে-বুনে কবিতায় রূপ দেন
জাগিয়ে তোলেন আশাহীনদের আশা --
ক্ষুরধার শব্দে আপনি ভেঙে দেন জুলুমকারীদের বিষদাঁত
কবিতার ধনুক থেকে আপনি তাদের অলিন্দে শব্দের ঝাঁঝাল তীর ছুঁড়েন --
যাঁরা মানুষ বিচার করে দ্যাখে জাতপাত।
এই জঘন্য পৃথিবীতে আমি অতি-নগণ্য --
অনাড়ম্বর হৃদয়ে গরিমা আমাকে মানাই না --
অভিমান তো তাঁকে মানায়, যাঁর আছে রত্নখনি --
কানায় কানায় পূর্ণ যাঁর ঝুলি ---
আমি এই পৃথিবীর একজন নতুন, অপরিপক্ক ছাত্র
আপনাদের রত্নগর্ভ কথায় পূর্ণ করি শূন্য ঝুলি।
আমিত্ব আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি
আমার হৃদয়ে নেই আত্মাভিমানের প্রলেপ
আমি লিখতে আসিনি, শিখতে এসেছি
তাইতো ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খাওয়া ক্ষুধার্ত শিশুটির মতো
আমিও কুড়িয়ে নিচ্ছি অমূল্য রতন।