রাতের পর রাত, বছরের পর বছর প্রায় সহস্রাধিক বছর কেটে গেলো ঘুমোতে পারিনি
এক করতে পারিনি দুচোখের পাতা
ঝিঁঝি পোকার গান, হিমেল সমীরণ কোনকিছু ঘুম পাড়াতে পারেনি আমায়।
এক ধরনের কষ্ট আঁকড়ে ধরে বুকের ভিতর
আছড়ে ফেলে হৃৎপিণ্ড,
গোংরানির শব্দে আশেপাশে ভিড়তে পারেনি ঘুম
চোখ বুঁজলে খোলে যায় স্মৃতির কপাট।
তুমি এতোটাই কাছে ছিলে এতোটাই কাছে
ইচ্ছে করলেই চিত্তে মাথা রেখে ঘুমোতে পারতাম
হাত বাড়ালেই ধরতে পারতাম জড়িয়ে।
আজ তুমি এতোটাই দূরে এতোটাই দূরে
অথচ দুজনের বাস একই শহরের একই গলিতে
আমি প্রতিদিন তোমাকে ভেজা চুলে দেখতে পাই
স্নান শেষে যখন ভেজা চুলে ভেজা কাপড় বেলকনির রশিতে ঝুলিয়ে যাও।
এইগুলো দেখার পর কি আর চোখে ঘুম আসে
দীর্ঘশ্বাসের হাওয়া লেগে তারাগুলো খসে পড়ে বুকের উপর
বুকের ভিতরের অন্ধকার দূর করে আলোকিত করতে চায়, ঘুম পাড়াতে চায়।
তুমি যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আনন্দ বাজার এবং কাউতুলির সবজি, মাছ, মাংসের দোকানে যাও
আমিও একই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই তোমার ভেজা চুলের ঘ্রান নিতে
কিন্তু দূরত্ব আর অধিকারহীনতার কারণে মুখোমুখি হতে পারি না।
রাতের পর রাত, বছরের পর বছর প্রায় সহস্রাধিক বছর কেটে গেলো ঘুমোতে পারিনি
ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েও এক করতে পারিনি দুচোখের পাতা
তোমার ছলছল চাহনি, মায়াবী হাসি, ঠোঁটের নীচের তিল ঘুমোতে দেয়না
ইদানীং খুব ঘুম পাই খুব ঘুম পাই
কিন্তু ঘুমোতে পারিনি যদি এ ঘুম আর কোনদিন না ভাঙ্গে
তাহলে ভেজা চুলে, বাজারের ব্যাগ হাতে
আর কখনো তোমাকে দেখতে পাবো না
আর কখনো না।