আমার প্রতিটি কবিতায় শব্দের ফুল ছড়িয়ে
তোমাকে এতো করে ডেকেছি
বলেছি কোন এক পড়ন্ত বিকেলে চলে এসো
দুজনে পাশাপাশি বসে সমুদ্রের জলে --
রক্তাভ সূর্যের এবং পানকৌড়ির স্নান দেখবো।
তোমাকে ডেকে ডেকে বলেছি --
এসো সবুজ ঘাসের চাদরে মুখোমুখি বসে --
প্রেমের অসমাপ্ত কবিতাটি চোখে চোখ রেখে
বিশ্বকোষ থেকে শব্দ কুড়িয়ে সমাপ্ত করি।
তুমি বারবার ফিরিয়ে দিয়ে --
বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলে দিলে তোমাকে নিয়ে যেনো
আর কোন কবিতা না লিখি।
তোমার কথা মেনে নিয়ে এক কোটি বছর পার করে দিলাম
তোমাকে নিয়ে একটি শব্দও না লিখে -
হয়তো এতোটা কাল নেশার ঘোরে ছিলাম
মোহ ভাঙতেই স্মৃতির ক্যানভাসে ভেসে উঠলো তোমার অবয়ব।
এসো পড়ন্ত বিকেলে সমুদ্রের জলে বিদায়ী সূর্যটাকে দেখি
ভেঙে হাজার টুকরো হয়ে কিভাবে প্রতিস্থাপিত হয়
তুমি ইচ্ছে করলে সূর্যটার মতো -
তোমার ভাঙা হৃদয়টাকে প্রতিস্থাপন করতে পারো।
এসো, শুধু একটি বারের জন্য এসো
ফুটপাতের চায়ের দোকানে পাশাপাশি বসে
তোমার চোখের সমুদ্রের তলদেশে নুড়ি পাথরের উপর চোখ রেখে
এই ফুটপাতের, রাস্তার অভুক্ত শিশুগুলোর মৌলিক অধিকার গুলো তুলে ধরে একটি কবিতা লিখি।
তুমি দেখতে পাওনি
ওরা সারাদিন ক্ষুধার্ত থেকে রাতে খোলা আকাশের নীচে ঘুমিয়ে যায়!
জরাজীর্ণ রোগা-সোগা দেহ -
আমার কবিতার প্রতিটি পঙক্তিতে তুলে ধরবো
এই শিশুগুলির অন্নবস্ত্র,শিক্ষা,চিকিৎসা, বাসস্থানের কথা।
আমি এই কবিতার মাধ্যমে ক্ষমতা পিপাসুদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চাই
ভিত নাড়িয়ে দিতে চাই সাম্রাজ্যবাদী, ফ্যাসিবাদি, স্বেরাচারী সরকারের।
তোমাকে কথা দিচ্ছি --
এই কবিতাটি লিখার পর আর তোমাকে ডাকবো না
সমুদ্র সফেন,সোনালী ধানক্ষেত,জলপ্রপাত দেখতে।