তোর কি কোন কর্ম নেই?
কারণে অকারণে রাগ করিস
মানুষের তো সমস্যা থাকতেই পারে
কেন কষ্ট পেয়ে মুখ আন্ধার করে রাখিস?
যাকে দ্যাখে রাতভর কথা বলতে চাস
তার তো সংসার ধর্ম কর্ম আছে
সে তোর মতো বৈরাগী নই
পরিপক্ব সংসারী, নিজ হাতে সাজিয়েছেন সংসার।
তুই রাগ করলেই কার কি
মাখতে আসবে না ঘি
ছটফটিয়ে মরবি
যা হবার নই তা নিয়ে জেদ ধরিস না কখনো।
আজকের পর আমার অবাধ্য হলে
তোকে আমি ক্ষুধার্ত আর তৃষ্ণার্ত রাখবো
পিপাসায় দেহের রক্ত চোষে খাবি
তোর চিৎকারে আরশ কম্পিত হবে।
অনেক বুঝিয়েছি তোকে খুব যত্ন করে বুঝিয়েছি
তোর কথা মতো চলতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়েছি
তুই যেইগুলোতে বায়না ধরিস
সেইগুলোতে আর তোর কোন অধিকার নেই।
অন্যের অধিকার হরণ করা ভারী অন্যায়
পাখির নীড়ের মতে চোখ, বেদানার মতো গাল
আর চাঁদের ফালির মতো ঠোঁট থেকেও তোর তৃপ্ততা আসেনা
শাসন করিনি বলে বড্ড ইঁচড়েপাকা হ'য়েছিস তুই।
যখন জমি তোর ছিলো তোর ইচ্ছে মতো লাঙ্গল চালিয়ে ফসল ফলিয়েছিস, সার ছিটিয়েছিস, নিড়ানির কাজও তোর ইচ্ছে মতো করেছিস
এখন তোর ইচ্ছে করলেই আবাদ করতে পারবি না।
চাঁদ দয়া করেছিল তোর উপর
তাইতো একযুগ আগে বামুন হয়ে চাঁদ ছুঁতে পেরেছিস
একবার ছুঁয়ে তোর স্পর্ধা বেড়ে গিয়েছে আবার ছুঁতে চাস
আর নিষেধ করলেই চেহারা অমাবস্যার রাত্রির মতো করে নিস।
তুই একদম নিষ্কর্মা
শুধু ভালোবাসা দিলেই কি আর ধরে রাখা যায়
ধেয়ে আসা ঝড় প্রতিরোধ করা চাই, সাপোর্ট দেয়া চাই
সর্বক্ষণ চোখে চোখে রেখে ভালোমন্দের খোঁজ রাখা চাই।
এখন ক্যানো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকিস?
স্পর্শ পেতে অধিক আগ্রহে ব্যাকুল থাকিস
তুই কি জানিস না? সে এখন অন্যের চোখের স্বপ্ন
তোর চোখের ভ্রম, হৃদয়ের যমযাতনা।
সত্যি তুই একটা নিষ্কর্মা, কাজের কাজ করিস না
অকাজে, অপকর্মে, কুচিন্তায় ব্যস্ত থাকিস সর্বক্ষণ
তুই এখন আবার কবি হবার ভাবনায় মত্ত
তুই নিষ্কর্মা, কিচ্ছু হবেনা তুকে দিয়ে।