কেয়ামতের বিভীষিকাময় ময়দানে
কেউ কারো হবে না --
নিজেকে ছাড়া অন্যকে নিয়ে কেউ ভাববে না
সেই পঞ্চাশ হাজার বছরের সঙ্গীন,কঠিন,নির্মম মুহূর্তে
সবাই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ জিকির করবে।


সেদিন মানুষ পালাবে - নগ্ন দেহে দৌড়াবে
নিজের ভাই, মা, পিতা, স্ত্রী ও সন্তানাদি থেকে।


এই সঙ্কটপূর্ণ খারাপ সময়ে সাহায্য চাইতে গেলে
এক এক করে ফিরিয়ে দিবেন আদি পিতা, জাতির পিতা, মাসীহ্-
সেজদায় পড়ে ইয়া-উম্মাতি, ইয়া-উম্মতি বলে কাঁদবেন
মদিনার ফুল, দো-জাহানের বাদশাহ্ প্রিয় রাসুল।


হাজারো মুনাফেক নিজেকে করছে দাবী নবী প্রেমিক
টিকবে না সেইদিন ধোপে ---
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজীও যাবে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে --
সাহাবিদের পথে চলা পথিকেরা জান্নাতে যাবে হেঁসে।


সেজদা দিতে দিতে কপালে ফেলেছো কড়
নিতে পারবে কি সেইদিন এতো অপকর্মের ভর।


গোপনে মেরে এতিমের হক --
আগুন জ্বলবে সেইদিন ধকধক।
নামাজে দাড়িয়ে হিসাব কষে সুদ,ঘুষ,দূর্ণীতির
কি সুন্দর ভাষণ দাও সততা আর মূলনীতির।
পড়শীর সীমানার খুঁটি চক্ষুড়ালে ক্ষানিকটা সরিয়ে
আত্মসুখে মন যে না-ও ক্ষানিকটা ভরিয়ে।
পরম সুখে নিয়েছো পড়শীর জমি অবৈধ দখল --
কিভাবে হজম করবে সেইদিনের ধকল।


কেটেকুটে ইসলামের লেজ
গলা ফাটিয়ে বলো মুসলিম হারিয়েছে তাঁর তেজ।
শত্রু আসছে ধেয়ে, নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছো পরের ঘরে খেয়ে
সাজতে চাও তুমি পুলসিরাতে নেয়ে।