চিনি নেই, লবণ নেই তারপরও বলছে ওঁরা
কি মজা, কি মজা নেতার হাতের গজা।
খাইয়ে দিয়েছে এমন পানিপড়া
সারাদিন গায় কেবল নেতার উন্নয়নের ছড়া।
রঙিন সানগ্লাসে ঢেকে দিয়েছে চোখ
দেখতে পায়না অনাহারী, ক্ষুধার্ত মানুষের মুখ।
নেতার অপকর্ম দেখছে সাধারণ জনগণ
হৃদয়ে নাকি জেগে উঠে আদর্শের শিহরণ।
গতর না খাটিয়ে কামাতে পারে মাল
এক সাথে চলে তেল আর তাল।
মিথ্যা সত্যতে করছে রূপান্তর
হামলা মামলা সত্যবাদীদের করছে দেশান্তর।
স্বাধীনতা কেবল মুখের বুলি
স্বৈরাচারীর হাতে কণ্ঠ রোধের রংতুলি।
সাঙ্গপাঙ্গ চ্যালারা বাজায় উন্নয়নের ঢোল
অন্ধকার জেলে বসে কাঁদে বাংলার বুলবুল।
বিষে ছমছম করে মোর গা
মানুষ হয়ে কেমনে চাটে মানুষের পা।
তাল মিলিয়ে কেমনে নাচে তাক ধিন,ধিন তা
নিজের মায়ের খেয়াল নেই, ষড়যন্ত্রীকে ডাকে মা।
পানিতে কতো শক্তি, চরণে লুটিয়ে দেয় ভক্তি
একগুঁয়েমি ভাব, কথাতে নেই কোন যুক্তি।
নেতার পাচাটা প্রবঞ্চকের মিলে মুক্তি
সত্য পিপাসুদের বিরুদ্ধে চলে গোপনীয় চুক্তি।
সাঙ্গপাঙ্গর যদি থাকে পাহাড় সমান পাপ
পকেটের আইন তাদের উপর ফেলেনা কোন ছাপ।
এরশাদকে যারা বলেছিলো স্বৈরাচার
আজ এরশাদের চেয়ে কমতি নেই তাদের আচার।
বলতে পারে না তাদের বিরুদ্ধে কেউ
ভাদ্র মাসের দলবাঁধা কুকুরের মতো করে ঘেউঘেউ।
বিরোধীদের ঠেকাতে স্বৈরাচারীর চ্যালারা যদি হাতে নেই অস্ত্র
প্রশাসন বলে এটি তাদের সৌন্দর্য বর্ধনের বস্ত্র।
হিম্মত থাকেনা বুকে দাঁড় করাতে কাঠগড়া
চাকরির বারোটা বাজিয়ে শুনিয়ে দিবে আমপারা।
স্বৈরাচার ঠেকাতে বিরোধীদের হাতে যদি থাকে লাঠি
পত্রিকাগুলো প্রকাশ করে তাদের মাঝে মৌলবাদ আর জঙ্গির ঘাঁটি।
হাতে ছিলো গোলাবারুদ, চাইনিজ কুড়াল,একে ফোরটি সেভেন আর চাপাতি।