পড়ন্ত বিকেল, চারপাশে হেমন্তের সোনালী ধানক্ষেত
মধ্যখানে আমি একেলা একা
তুমিও যদি আমার মতো একেলা একা থাকো
তাহলে চলে এসো বিরহিণী, হেমন্তের এই সোনালী ফসলের মাঠে
সিনাই নদীর ঘাটে মুখোমুখি বসে বারোটি বছরের দগ্ধ হৃদয়ের কথাগুলো শুনবো, শুনাবো।
পাশেই সিনাই নদী
ক্ষুরধার স্রোতের কলকলধ্বনি
কোন এক নির্জন স্থানে কবে যেন দ্যাখে ছিলাম তোমায়
আমার কথা ভাবতে ভাবতে চোখের নীচে কালো দাগ পড়ে চেহারা বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে
ডুবন্ত সূর্যের আলো সিনাইর জলে প্রতিফলিত হয়ে তোমার বিবর্ণ মুখের উপর পড়বে
আর আমি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে দ্যাখবো সোনা মাখা বিবর্ণ মুখ।
সিনাই নদীর ঘাটে আমার প্রিয়া আসবে জেনে
কাঁচা সোনার রং কে মাখালো ধানে
সোনালী ধানের মউ-মউ গন্ধে
বিরহিণী বিরহ ভুলে যাবে আনন্দে।
তুমি আসবে বলে ঋতুর রানী শরত প্রস্থান নিয়ে
হিমবায়ুর পালকি চড়ে হালকা কুয়াশার আঁচল টেনে হেমন্ত এলো তোমার পায়ে শিশিরের আলতা লাগাবো বলে
রাজাধিরাজ আকাশের বুকে তারাদের মেলা বসিয়েছে তুমি আর আমি দেখবো বলে।
কলঙ্কের ভয় আঁকড়ে ধরেছে তোমার মস্তিষ্ক
হিয়ার টানে ঘর ছাড়তে লাগে ভয়
যে মানুষ গুলোকে তুমি ভয় পাও
সেই মানুষ গুলো করতালি দেবে দ্যাখে দুটি হৃদয়ের ক্ষয়।