লুকিয়ে লুকিয়ে এক বাউণ্ডুলের সাথে করেছিলাম ইয়ে
লাজলজ্জার মাথা খেয়ে পালিয়ে করেছিলাম বিয়ে।
সুখে রাখবে বলে নিঝুম রাতে দিয়েছিলো কথা
তার সাথে কাটিয়ে পায়নি আমার সুখ পূর্ণতা।
যখন এসেছিলাম তার ঘর ছড়ি
সুখের সওদা নিয়ে কতো সওদাগর এসেছিলো মোর বাড়ি।
একজন এসে পরিয়ে দেয় মোরে বেনারসি শাড়ি
তার হাত ধরে দিয়েছি সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি।
শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রতি ঘন্টায় নেয় মোর খোঁজ
ভালোবাসার রসায়ন মিশিয়ে দেয় বুঝ।
একসাথে পাড়ি দিয়েছি সুদীর্ঘ পথ
ভিন্ন হয়নি কখনো দু'জনার মত।
কখনো হয়নি আমাদের মাঝে দাঙ্গা
সুদীর্ঘ সময়ে কখনো দেখিনি তার চোখ রাঙা।
কথা বলেনি কখনো শাসিয়ে
নীলিমা দেখিয়েছে পাশাপাশি বসিয়ে!
যখন দেখে আমার মুখখানা কালা
আকাশ থেকে তাঁরা এনে বানিয়ে দেয় মালা।
একদিন পিঁয়াজ কেটে জল এসেছিলো চোখে
বলেছিলো আর কাটতে হবেনা পিঁয়াজ ধরে বুকে।
কেটে দেয় মোর পিঁয়াজ-রসুন,ঘষে দেয় থালাবাসন
আমার সমস্ত ঘর জুড়ে সুখ পেতেছে মজবুত আসন।
প্রাক্তন আর বর্তমান, আঁধার আর আলো
দূর করছে সব আমার জীবনে যা ছিলো কালো।
ফোসকা খাওয়াতে নিয়ে যায় পার্কে
কেনাকাটা করতে মার্কেট!
এমন পতি থাকে যার ঘরে,স্বর্গীয় সুখ থাকে যেনো ভরে
আর কোন বাসনা নেই, শান্তি মিলবে মরে।
মনে না হওয়ার মাঝে-ও যখন মনে হয় প্রাক্তনের মুখ
বেচারা নাকি মদের গেলাসে খোঁজে নিয়েছে সুখ।
কি দাম আছে এমন জিন্দেগীর,নাটকীয় বন্দেগির
বহু বদনাম রটিয়েছিল জীবনসঙ্গিনীর।
কি মিলায়ে দিয়েছেন ঈশ্বর, যেনো আসমানের ফেরেস্তা
আমার বুকের কোঠরিতে তৈরী করেছেন ভালোবাসার সেরেস্তা।
একদিন আমার এসেছিলো খুব জ্বর
চলাফেরা করেছিলাম তার কাঁধে দিয়ে ভর।
আর কিচ্ছু চাইনা আমি এই ভবে
চাওয়ার চেয়েও অধিক কিছু মিলিয়ে দিয়েছেন আমার রবে।