স্নিগ্ধ ভোরে দ্যাখেছিলাম এক নারী
তার খোঁজে ছেড়েছিলাম বাড়ি
সাত সমুদ্র তেরো নদী দিয়ে পাড়ি
খোঁজে পাই নীলাম্বরী সেই নারী।
তার পাখির নীড়ের মতো আঁখি
দিতে পারেনি কভু আমায় ফাঁকি
ড্যাব-ড্যাব করে শুধু তাকিয়ে থাকি
আমার প্রাণের প্রিয়তমা সাকী।
হ'য়েছে মোর মহামারী সম পীড়া
ভীষণ ব্যথায় ব্যথিত শিরা
হৃদয়ে ধরেছে এ ক্যামন কীড়া
খেলতে ইচ্ছে করে ভালোবাসার ক্রীড়া।
স্নিগ্ধ ভোরে দ্যাখেছিলাম এক নারী
আখাউড়া হীরাপুর ছিলো তাঁহার বাড়ি
পরিধানে ছিলো নীল শাড়ী ----
হাতে ছিলো তাঁহার রেশমী চুড়ি।
পাখির নীড়ের মতো ছিলো দুটি চোখ
ধুকপুক করেছিলো আমার নির্মল বুক
তাঁর মাঝেই খুঁজে ছিলাম চীর সুখ
এই সুখটা-ই একদিন হ'য়ে যায় চীর অসুখ।
পাকা টমাটোর মতো ছিলো তার দুটি গাল
বাঁচতে চেয়েছিলাম ধরে ভালোবাসার ডাল
বাঁচতে চাওয়াটাই একদিন হ'য়ে যায় কাল
সাকীর বিরহে শরাব পিকে হ'য়েছিলাম টাল।
যখন দ্যাখেছিলাম গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট
হৃদয় খেয়েছিলো হোঁচট, লেগেছিলো চোট --
মোর হৃদয় করেছিলো লুট ---
ভালোবাসার ঢেউয়ে ভেঙেছিলো হিমালয় সম কুট।