আমার মিষ্টি খুকী
তোমায় পেয়ে আমি নয়তো দুখী
বাড়ির বাহিরে রাখলে পা
দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরতো গা।


মায়ের মতো করতো জিজ্ঞেস
যাচ্ছো কোথায়? হয়ো না'ক নিরুদ্দেশ
রাত্রি নামার সাথে, ফিরবে বাড়ির ঘাটে
রইবো বসে বারান্দায়, তুমি আসার আশে।


রাত্র যদি গভীর হয় খুলবো না দরজার খিল
কি খোঁজে পেলে? তোমার মায়ের সাথে আমার কতোটা মিল
মায়ের কথা অমান্য হলে ভাত দেবোনা পাতে
রইবে তুমি উপবাস দিবা কি'বা রাতে।


মা হারিয়ে পেয়েছি মা
অমান্য করার কলিজা কি আছে মোর
তুমি আমার কুয়াশা ভেজা ভোর
রোদেলা দুপুর, সাঁঝেরবাতি।


অতশত বুঝিনা, অজুহাত খুঁজি না
বাধ্যবাধকতা চাই তাহলে পাবে আমার ঘরে ঠাঁই
ভেবেছো কি মিষ্টি কথায় গলিয়ে নিবে মন
এ নয়তো কঠিন যদি মেনে চলো আমার দেয়া রুটিন।


দ্যাখতে দ্যাখতে ফুরিয়ে এলো দিন
হৃদয়ে বেজে উঠলো বেদনার বীণ
বাড়িঘর ছাড়ি, বহুদূর দিতে হবে পাড়ি
ক্লেশে ভরপুর হাঁড়ি, লেগেছে অন্তরে মহামারী।


হীরা মুক্তা চুনি পান্না ছাড়ি
রিজিকের তাগিদে মরুর দেশে দিতে হবে পাড়ি
চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে শিরা-উপশিরা, ভেতর বাহির, অন্তর
ভাবতেই চলার গতি হয়ে আসে মন্থর।


হৃদয়ে যখন লাগে এ ব্যথার চোট
মনে হয় কে যেন পিষে দিলো পায়ে লাগিয়ে বুট
ব্যথা হয় খুব ব্যথা, হৃদয় টুটার ব্যথা
চিনচিন করে হঠাৎ শকুনির মতো খামচে ধরে।


মা হারা ব্যথা, ভাই হারা ব্যথা, প্রেয়সী হারা ব্যথা
বাবা-মা, ভাই-বোন, মাটি-ঘাঁটি, হৃদয়ের স্পন্দন
আত্মীয়-অনাত্মীয় ছেড়ে যাওয়ার ব্যথা
সবগুলো ব্যথা বাঁধে জোট, দেয় চোট, লাগে ধকল
মনে হয় এই বুঝি ছিঁড়ে যাবে হৃদয়ের বাকল।


তারিখঃ ১৯/০১/২০২২
বড়মুড়া, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।