হায় নামাজি, হায় নামাজি, হায় নামাজি
পুরো গ্রাম ঘুরে করো মাতব্বরি
হেমন্তের সোনালী ফসল কেটে
নিজ কাঁধে বয়ে ঘরে তুলো
আকাশে মেঘ যদি দেয় গর্জন
পাউড়ী আর ধানে শুরু করে দাও ঘর্ষণ
বৃষ্টির জলে ভিজতে নাহি দাও
নিরাপদে রাখো শত কষ্ট যদিও পাও।
হায় নামাজি, হায় নামাজি, হায় নামাজি
মুখের শক্তিতে কাঁপে ভূমি
এ কেমন নামাজি সেজেছ তুমি
যখন আসো মসজিদে
জোর পাওনা পায়ের ঘোরালিতে
চেয়ারে বসে দাও রুকু-সেজদা
এ আবার কেমন নব পেকনা।
পায়ের ঘোরালিতে এতো শক্তি
ভেঙে যাবে পাঁজর যদি মারো লাত্থি
চায়ের কাপে দিয়ে চুমুক
মুখ ভরে মারো বজ্রকণ্ঠে এক ধমক।
হায় নামাজি, হায় নামাজি, হায় নামাজি
মসজিদে গিয়ে ধরো ভান
হাজারো অসুখ দেহে বিদ্যমান
ছলচাতুরী স্রস্টার সাথে
তুমি লোক দেখানো নামাজি এ নয়কো মিছে।
হাটে গিয়ে সদায় করো সর্ব দোকান ঘুরে
হেমন্তের ফসল কাটা মাঠে গরু চড়াও
হাতের কব্জিতে রশি বেঁধে
হায় নামাজি নামাজ পড়ো মসজিদে চেয়ার পেতে।
বৃষ্টি বাদলের দিনে পথ চলো লাঠি বিনে
হাল চাষ করো লাঙ্গলের ঈশ টেনে
তখন গায়েবি শক্তির সঞ্চালন হয় দেহ ও মনে
হায় নামাজি নামাজ হয়না তোমার চেয়ার বিনে।