এমনই একদিনে তুমি যখন এসেছিলে ভবে
জড়িয়ে ধরে তোমায় হেঁসে ছিলো সবে।
চিৎকার যখন বিদীর্ণ করেছিল জন্মদাত্রীর কর্ণ
প্রসবকালের বেদনা ভুলে গলায় জড়িয়ে দিয়েছিল ভালোবাসার বর্ণ।
আমার বুকে উঠেছিল আনন্দ হিল্লোল --
আকাশ-বাতাস,পাহাড়-পর্বত দেখেছিল এ কল্লোল।
সমস্ত উঠোনে ঝরে পড়েছিল আসমানের ফুল
বনের প্রান্তে কাশফুলের সাদা এলোকেশ খেয়েছিল দোল!
নৌকার পাল উড়িয়ে মাঝিমাল্লা গেয়েছিল গান
কেঁদে কেঁদে জানিয়েছিলে স্রস্টার শুকরান।
আকাশের নরম নীল ছুঁয়ে ভেসেছিল শুভ্র মেঘের ভেলা
উত্তর পাশের বিলে ডাহুক করেছিল খেলা।
ভেসে বেড়ানো মেঘের প্রান্ত ছুঁয়ে উড়েছিল চিল
শালুক পাতা ভরা ছিল বাড়ির পাশের ঝিল।
বাঁশবনে আঁধারের বুক চিরে জোনাকির রুপালি সেলাই
শরতের এমনই এক রাতে বিধাতা তোমাকে মিলায়।
পৃথিবীতে এসেই দেখতে পেলে প্রভাতের শিশিরভেজা শিউলি
দূর্বাঘাসের নাকের ডগায় শিশিরের ফোঁটা!
আমার মাথায় যতো চুল আয়ু হোক তোমার
মানুষের মতো মানুষ হও,জীবনের প্রতি মহান।
মানব হৃদয় খোদার ঘর,ভাঙ্গিওনা কটুকথা
মিথ্যের কাছে কখনো নত করিওনা তোমার এ মাথা।
বিদেশ বসে করছি প্রার্থনা, তোমার সোনালী দিনের তরে
সুখের পাপড়িতে তোমার জীবন স্রস্টা যেনো দেয় ভরে।