চাষার আবার কিসের চৈত,বৈশাখ,জৈষ্ঠ্য,আষাঢ়
সময় একদম মিলে না বউকে ভালোবাসার।
নুন আনতে পান্তা ফুরায় আমার --
বিবর্ণ চেহারা দেখলে ডাকে মোরে কামার।
ঘুম থেকে জেগে জমিতে চালাই লাঙল --
যদি ফিরে আসে টানাপোড়ার সংসারে মঙ্গল।
অনাবৃষ্টিতে পুড়ে যখন ক্ষেত
বুকে কে যেনো আঘাত করে হাতে তুলে বেত।
সোনালী ফসল যখন তলিয়ে দেয় অতিবৃষ্টি
মোর সমস্ত দেহে হয় কম্পন সৃষ্টি।
কিসের ফাগুন,ঝরে আগুন,বর্ধিত হয় ব্যথা দ্বিগুণ
ব্যাংক থেকে চাপ আসে পরিশোধ করতে লোন।
ধরায় কখন ফুটে পলাশ,শিমুল,কৃষ্ণচূড়া
খোঁজ রাখতে পারেনি এই অর্ধ বুড়া।
যখন দ্যাখি সবুজ পাতা, সোনালী ধান --
আনন্দে নাচে আমার এ প্রাণ।
খোঁজ রাখতে পারিনি শ্রাবণ,ভাদ্র,আশ্বিন,কার্তিক
প্রিয়ার তরে হতে পারিনি কখনো হার্দিক।
শ্রমে-শ্রমে কখন যে গড়িয়ে যায় বেলা
তারপরও জমে থাকে কাজ মেলা।
নীরবে যায় অগ্রহায়ণ,পৌষ -- গরীবি হালত তকদিরের দোষ
আটকাতে পারেনি ঘরে হাড়কাঁপানো মাঘ --
ভাগ্যে জুটেনি গোমাংস, তিনবেলা কেবলই শাক।
চারদিকে পানি থৈথৈ, বড়শীতে ধরি কৈ
টাকি মাছ মিলে জমিতে যখন দেই মই।