আমার একটি কবিতায় বিদ্যুতের সমার্থক শব্দ
সৌদামিনী শম্পা দিয়েছিলাম লিখে
প্রিয়তমা পড়ে তাঁর চাঁদবদন হয়ে যায় ফিকে।
আমাকে দাঁড় করিয়ে অপরাধীর কাঠগড়া
উকিলের মতো করতে থাকে জেরা --
আমি নাকি তাঁকে দেই সর্বক্ষণ প্যারা।
সে দ্যাখতে ক্যামন,ক্যামন তাঁর নাক,মুখ,চোখ
আছে কি তাঁর সুডৌল বুক, চাঁদের ফালির ঠোঁট।
অকিঞ্চিৎকর অবয়বে হুমকির স্বরে বলে আমায়
কে দেয় তোমাকে এতো বল
নাক ডুবিয়ে তলে-তলে খাচ্ছো জল
দ্যাখে নিও তুমি কি হয় এর ফল।
তোমার হাত হয়েছে অনেক লম্পা (লম্বা)
থাকো তুমি লয়ে শম্পা
তাঁর মৃদু হাসিতে যখন আলোকোজ্জ্বল হবে তোমার ঘর
উষ্ণ চুম্বন এঁটে দিও তাঁর ললাটে,বুকে দিয়ে ভর।
বুঝাতে পারিনি তাঁকে, চেহারা ফেঁকাসে
কাঁদোকাঁদো কণ্ঠ, ছলছল চোখ, ব্যথা ভরা বুক
একটি শব্দ দিয়েছে তাঁকে গগনচুম্বী দুখ।
বনলতা ছিলো নারী
সৌদামিনী শম্পা পড়ে কি তাঁর সারি
এই আমি যাচ্ছি বাপের বাড়ি
শম্পাকে লয়ে ভাঙা ঘর দাও জোড়াতালি।
যেওনা সাথী, তুমি আমার বাতি
চাইনা আমি চপলা-চঞ্চলা, সৌদামিনী শম্পা
তুমিই আমার উম্পা-লুম্পা-ঝুম্পা।