প্রচন্ড জ্বরে শিশুটি মা,মা বলে কাঁদছে
মা তার পাশে নেই, সুখের সন্ধানে হাঁটছে।
ছুটে চলে মা সমস্ত মমতা করে দাফন
কে আছে এই ভবে মা'র চেয়ে আপন!


শিশুটির একশো চার ডিগ্রী জ্বর
চলে গিয়েছে মা সুখের তরীতে দিয়ে ভর।
বাপ থাকেনা ঘরে,বাহিরে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়ে
শিশুটি মাটিতে উপুড় হয়ে থাকে পড়ে।


একলা একা ঘরে থেকে মৃত্যুর সাথে লড়ে
কাঁপুনি এলে ছেঁড়া কাঁথা গায়ে জরিয়ে মা,মা ডাকে ডরে।
কেউ নেই ঘরে কপোলে দিবে জলে ভিজিয়ে তেনা
তার মা চুকিয়ে নিয়েছে সব লেনাদেনা।


বাপটা সারাদিন অন্যের জমিতে করে কাজ
সন্ধ্যা ঘরে ফিরে দেখে মেয়ে তার লাশ।
কখনো মাটিতে, কখনো নিজ বুকে মেরে-মেরে কিল
কান্দিয়া কান্দিয়া বলে বাবা "খোল মা তোর চোখের খিল"।


মহাজনকে বলে আনছিলাম কিছু টাকা
ডাক্তার দেখাতে তোকে নিয়ে যাবো ঢাকা।
তোর মায়ের ব্যথা ভুলেছিলাম তোকে কাছে পেয়ে
কেমনে আমি থাকবো বেঁচে, কার মুখ চেয়ে।


পাঁজাকোলে লয়ে কপোলে চুম্বন খেয়ে খেয়ে বলে
হে খোদা, আমাকে বাকী রেখেছো কেনো!
আমাকেও নিয়ে যাও, আমাকেও নিয়ে যাও
আমি বহন করতে পারবো না এ লাশ, বন্ধ করে দাও আমার শ্বাস।
আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দাও মেয়ের পাশে
খুব ভারী সন্তানের লাশ পিতার কাঁধে।