ছোট-বড় নেই ভেদাভেদ কাছে নেয় টেনে
গরীব দুঃখীর মাথায় হাত বুলিয়ে হাসি ফুটান মুখে
এমন মানব সত্যি মহান, বুকে উড়ে সত্যের নিশান জ্ঞানের সাগর মস্তিষ্কে, জ্ঞান বিলান দু'হাত ভরে।
ভ্রমণ পিপাসু মন, ভ্রমণে করেন জ্ঞান অন্বেষণ
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ভাসিয়ে দেন জ্ঞানের খেয়া
খেয়া ভর্তি যাত্রী খেয়ায় পোহান রাত্রি
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো ছাত্র-ছাত্রী।
কাক ডাকা স্নিগ্ধ ভোরে
ঘোরেন হেমন্তের ফসলের মাঠে
সোনালী ধানের শিষের শিশির বিন্দু
উজাড় করে দেয় সম্মুখে জ্ঞানের সিন্ধু।
বিদ্যায় পরিপূর্ণ ঝুলি তারপরও বলেন আমি ভিখারি
দ্বিকবিদিক ঘুরি বিন্দু সম পেলেও আহরণ করি
পাহাড় পর্বত মাড়িয়ে, সমুদ্র সফেন তাড়িয়ে
জ্ঞান আহরণে পাড়ি দিবো দূর্গম গিরি,
চূড়ায় উঠবো বেয়ে হিমালয়ের সিঁড়ি।
সাধাসিধে চলন, পোষাকে নেয় আভিজাত্যের ধরন
সদা থাকেন হাসিখুশি, ভালো কামে হন দোষী
নির্ভেজাল অন্তর, বক্তৃতায় কাঁপে না দন্তর
সত্যের মশাল ধরে লড়ে যান নির্ভয়ে।
সফেদ হৃদয়, সর্বদা থাকেন সদয়
ছিলেম আমি বাউন্ডেলে, অকবি ছিলেম কবিদের ভীড়ে
কাছে বসিয়ে দিয়েছিলেন সাহস, শক্তি জোগায়ে ছিলেন কলমে
সেই থেকে আমি ছেড়েছি নীড়, হয়েছি উন্মুক্ত বিদ্রোহী বীর।
নাম তাহার আবু আক্কাছ
প্রধান শিক্ষক রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের
চাও যদি পেতে দর্শন, করোনা সময়ের কালক্ষেপণ
সিনাই নদীর ঘাটে, নির্বিঘ্নে এসো সকাল সাঁঝে।