যেমন ইচ্ছে তেমনি লিখছি,আমার কবিতার খাতা
ইচ্ছে হলে পড়ো নাহলে ছিঁড়ে ফেলো পাতা।
দিনশেষে রাত আসে, রাত শেষে দিন
দুচোখে ভর করে পৃথিবীর সমস্ত নিন্দ্।
এলোমেলো ভাবনায় লিখি আবোল-তাবোল
ইচ্ছে না হলে করিওনা মোর লিখা কবুল।
ছন্দ-মন্দ লাগে দ্বন্দ্ব বুঝিনা আমি ভাই
শব্দ একের পর এক বসিয়ে দেই মস্তিষ্কে যা পাই।
কথা বলি নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের
বজ্র কণ্ঠে স্লোগান তুলি স্বৈরতন্ত্র উৎখাতের।
জ্ঞানহীন মূর্খ মাতব্বরের বিরুদ্ধে করি দ্রোহ
বয়কটের ডাক দেই, সঙ্গের সঙ্গী হয়না কেহ।
ভাঙ্গি না মাথায় তেলের হাঁড়ি, বীর বিক্রমে লড়ি
জ্ঞানের সীমানা প্রসারিত করতে জ্ঞানীর লিখা পড়ি।
যখন জ্ঞানহীন মূর্খের মুখে জ্ঞানের কথা শুনি
ভেঙে যায় মোর হৃদয়ের কফোণি ---
মসজিদ থেকে শিক্ষাঙ্গন ---
ইউনিয়ন থেকে সাংসদ ভবন অবাধে বিচরণ --
সমাজ চালায় মূর্খ করেনা কেউ বারণ।
খুউপ ভয়ঙ্কর জ্ঞানহীন মূর্খের আধিপত্য
দ্যাখতে দ্যাখতে আমি এখন ক্লান্ত।
সারা শরীরে উদয় হয় ব্যথা, হৃদয়ে ভাংচুর
যখন দ্যাখি শিক্ষিতমহল জ্ঞানহীন মূর্খের পিছে
প্রয়োজনে একাকী থেকে একাকিত্ব হবো --
জ্ঞানহীন মূর্খের পেছনে এক কদম নাহি এগোব।
জ্ঞানী-গুণী আর শিক্ষিত গুটিয়েছে হাত
তাইতো সর্বক্ষেত্রে মূর্খের এতো উৎপাত।
অপরাধীর কাঠগড়ায় শিক্ষিত ----
বিচারকের চেয়ারে মূর্খ ----
আর কতোকাল দ্যাখবো এ খেল?
ঢালছে তেলা মাথায় তেল।
আঁকিবুঁকি লিখে ভরিয়েছি খাতা
পড়তে ইচ্ছে না হলে ছিঁড়ে ফেলিও পাতা।