দিনদিন কেনো জানি রোবোটিক মানুষ হয়ে যাচ্ছি
এক এক করে মরে যাচ্ছে অনূভুতি গুলো।
আবেগ আর উথলে উঠে না হৃদয়ে
কিছুকিছু অবহেলায় পাথর হয়ে যাচ্ছে।
কখন ঋতু পরিবর্তন হয়ে শরত এসেছে বুঝতে পারিনি
পাথর হৃদয়ে আঁচ কাটেনি কাশবন,সফেদ আকাশ।
রোবট কি আমি একাই হচ্ছি
নাকি আমার মতো রোবোটিক মানুষ আরো আছে পৃথিবীতে!
আমি খোঁজ না নিলে, কেউ আমার খোঁজ নেইনি
কেমন আছি প্রবাসে, কি খেয়েছি রাতে।
সব মিথ্যে, সব মিথ্যে --
এই পৃথিবীতে কেউ কারোর না
যতো আবেগ ততো বেদনা,যতো দুর্বল ততো আঘাত।
যাদের জন্য খাটাখাটি করি তারাও খোঁজ নেই না
একটি অচল পয়সার খোঁজ কি কেউ কখনো নিয়েছে
কেউ নেইনি, কেউনা।
রোবোটিক হয়ে যাচ্ছি এটাই ভালো
কখনো ব্যথা লাগবেনা, মায়া জাগবে না
বালিশ ভিজবে না লোনাজলে।
ধুসর,বিভৎস অতীতটাই ভালো ছিলো
বেদনার কেবল একটি রং ছিলো
এই বিভৎস অতীত থেকে বেরিয়ে এসে দেখি রংবেরঙের বেদনা।
আত্মসম্মান আত্মাহুতি দিয়ে ইচ্ছে করে ফিরে যাই
সারাদিন ডুবে থাকি গেলাসের জলে!
খোঁজ নেওয়া না নেওয়ার ভাবনা একদম আসবেনা
ঘুরবে না বেদনার চাকা গুলো।
তারা-ও খোঁজ নেই না -
যাদের আমি আমার পৃথিবী ভাবি!
যাদের সুখের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমোতে যাই
আবার ঘুম থেকে জেগে শুরু করি ভাগ্য পরিবর্তনের যুদ্ধ।