হারিয়ে গিয়েছে ছায়া, হৃদয়ে কেবল মায়া
হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্রগুলো না এলে ধরাধামে -
আলো জ্বলতো না আমাদের গাঁও-গেরামে।
বলছি আমি তাদের কথা-
যাঁরা ছিলো পূর্বাঞ্চলের সজীব-সতেজ লতা।
মমতায় ভরা ছিলো বুক -
অন্যের সুখে খুঁজে নিতেন নিজেদের সুখ।
দীপ্তি ছড়িয়ে ছিলেন চারপাশ -
বেঁধে ছিলেন আশাহীনদের বুকে আশ।
ভেবেছিলেন তোরাব আলী সর্দার
এ-তো বড় গাঁয়ে একটি ঈদগাহ্ দরকার।
আগপাছ না ভেবে, জমির মায়া নাহি করে
ঈদগাহ বানিয়ে ভালোবাসা নিলেন ছিনিয়ে।
মনিন্দ্রের নাম শুনেছেন নিশ্চয়,
দিয়েছিল কচিকচি মুখের আশ্রয়
সবুজ ঘাসে ভরপুর এই বিস্তৃত মাঠ
বেঁধে দিলেন বিদ্যালয় বানিয়ে কচিমুখের ঘাট।
এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা বিলিয়ে ছিলেন মোস্তফা স্যার
তাঁহার শিক্ষায় ছিলো অতুলনীয় বাহার।
মস্তু স্যারের বিলানো আলোয় যাঁরা হ'য়ে ছিলেন আলোকিত
আজ তারা ছড়াচ্ছেন আলো, দূর করছেন আঁধার কালো।
ও-ই যে উচ্চ বিদ্যালয়টি দ্যাখতে পাচ্ছেন
এমনিতেই মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়নি এখানে-
খোরশেদ আলম, জারু সর্দার, নায়েব আলী মেম্বার, কেরামত আলী সর্দার
দা-কোঁদাল-হন্তি-শাবল হাতে ল’য়ে করেছিলেন কাজ
লাজকে সাজ বানিয়ে করেছিলেন কর্ম -
মানব সেবায় ছিলো যেন তাদের নৈতিক ধর্ম।
হাসেম ভাই হাতিম তায়ি ব'লে সর্বলোক
হৃদয় তার বিশাল দামী, দিয়েছেন স্কুল মসজিদের জমি।
কি বলবো ভাই তাদের কথা, এলাকার প্রতিটি মানুষ-ই দাতা
বাঁশ-গাছ-ধান-চাল দিয়ে ছিলেন বিলিয়ে
কাজ করেছেন সেইদিন ধনী-গরীব, ছোট-বড় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।