আমি মুক্ত বিহঙ্গ
ভাসতে ভালোবাসি মেঘে।
সদ্য প্রস্ফুটিত বেলীফুলে বসা প্রজাপতি আমি
অবুঝ শিশুর আনন্দ হিল্লোল।
আমি মানিনা এই ধূর্ত সমাজ, ধূর্ত মাতবর
পথচলি তাঁদের অলিন্দ্য মাড়িয়ে।
নিজের ছন্দে সৃষ্টি করি সুর,নিত্য অহমিকা করি দূর
ভীষণ জ্বালা, অন্তর কালা --
মূর্খেরা এখন গলায় পরে ফুলের মালা।
আমি বিধবার বুকের দীর্ঘশ্বাস --
মস্তিষ্কে ঘূর্ণিপাকের মতো ঘুরপাক খায় নির্যাতনকারীর নাশ -
জীবনানন্দে চলি পথ, হরিণীর মতো করি বধ।
আমি একাকীত্ব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি --
একলা একাই সবুজ ফসলের মাঠে হাঁটি --
আমি পদদলিত করি দুষ্কৃতকারীদের ঘাঁটি --
কষ্টিপাথরের মতো ঘষে মানুষ খুঁজি খাঁটি।
আমি পিতার অবাধ্য কোঙর
হাতে পরেছি সত্যের ঘুঙুর
হিম্মত থাকে তো চালা বুকে খঞ্জর
নয়তো আমি নৃত্য করবো দাড়িয়ে তোদের বুকের উপর।
ধরেছি আমি সত্যের মশাল
সত্যের জয় চিরন্তন
এ পথ বিভীষিকা ভরা জেনেও পূজারীরা হাঁটে নিরন্তর।
আমি বাদকহীন বাদ্য
কীর্তিমান কীর্তনের ঢোল
আমাকে বাজাতে এলে লাত্থি মেরে ভেঙে দেবো তোর কোল।
আমি অতীতেও দ্যাখেছি মিথ্যের বিভৎস পরাজয়
আজকের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ছেলেটির হাতে সেইদিন জ্বলেছিলো --
সত্যের প্রজ্বলিত মশাল।
মিথ্যেবাদীরা নাস্তানাবুদ হয়ে খেয়েছিলো ঘোলাজল
সত্য-ই সেইদিন হয়েছিলো সফল।
এই লড়াইটা ক্ষমতার ছিলোনা, ছিলোনা স্বার্থের
লড়াইটা ছিলো দৈত্যের বিরুদ্ধে সত্যের --
কালে-কালে মুখ থুবড়ে দাড়িয়েছে সত্য
পিষে দিতে পারেনি মিথ্যের দৈত্য।
আমি বাউণ্ডুলে --
আমার কোন গাঁও নেই, নেই কোন সমাজ --
ছন্দের তালে সত্যের গান গাই --
বুকে জড়িয়ে ধরি যেথায় সত্যবাদী পাই।