জীবনানন্দ দাশকে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন
আর আমাকে এই মুহূর্তে দুদণ্ড শান্তি দিতে পারে পায়রার সৌদামিনী শম্পা।
কোথায় তুমি?
সেই সকাল থেকে তোমার প্রহর গুনছি
তুমি আসবে! কেবলই মানুষের মুখে শুনছি।
তুমি এসে উড়িয়ে যাও আমার মাথার ঝাকড়া চুল
সমস্ত ঘরে ছড়িয়ে যাও কবিতার পান্ডুলিপি।
তোমার জন্য আমার হৃদয় আজ করছে হাহাকার
অন্ধকারাচ্ছন্ন আমার ঘর, অগোছালো বেডরুম
পানি ঝরছে না শাওয়ার ট্যাপ থেকে, ধুসর বাথরুম
তুমি আসলে চুলায় চড়াবো মাশরুম।
বিলের জলে ডানা ঝাপটাচ্ছে পাতিহাঁসগুলো
চামড়া পোড়া গন্ধ নিয়ে ক্লান্ত পথিকেরা খুঁজচ্ছে ছায়া।
তুমি খুব অহংকারী, সৌদামিনী শম্পা
তুমি যদি আমাকে দুদণ্ড শান্তি দাও
তোমার ললাটে উষ্ণ চুম্বন দেবো।
তোমার অপেক্ষায় পথের ধারে প্রতীক্ষারত কোটি মানুষ
ঘুরছে না কলকারখানার চাকা, জ্বলছে না চুলো শ্রমিকের
মোমবাতির নিবুনিবু আলোয় চলছে পড়াশোনা।
গ্রাম থেকে শহরজুড়ে চলছে হাহাকার
বিলের জলে শিশু কিশোর কাটছে সাঁতার
তুমি বিহনে ঘুরছে না ডানা পাখার।