আজ এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম
লিখতে পারিনি দুকলম আপনাকে নিয়ে কিচ্ছু।
সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা এলো
সকল ব্যস্ততার হলো অবসান
আমার জীবনে আপনি স্রস্টার শ্রেষ্ঠ দান
কি করে অস্বীকার করি আপনার অবদান।
আব্বা বলে না ডাকলে পাইনা অন্তরে শান্তি
আব্বি,আব্বু,আব্বুজি,বাপিতে লাগে মোর বিভ্রান্তি।
দূর প্রবাসে বসে তুলি দুইহাত
স্রস্টা যেনো বাড়িয়ে দেন আপনার নেক হায়াত।
দূর করে সকল পেরেশানি, ব্যথা,বেদনা, গ্লানি
চোখ থেকে যেনো নাহি ঝরায় কখনো লোনাপানি।
দারিদ্র্যতার সাথে সংগ্রাম করেছেন কাঁধে চাপিয়ে সংসারের ভার
দারিদ্র্যতা কখনো মানাতে পারেনি আপনাকে হার।
আব্বা-আব্বা বলে ডাকি যখন
আহ্ আব্বা ডাকে কতো যে প্রশান্তি লাগে তখন!
এতো মধুর ডাক ছেড়ে --
অন্য ডাকে মেলে কি আত্মার তৃপ্তি --
আমাদের মাঝে নীরবে ছড়িয়েছেন আপনি দীপ্তি।
প্রভাকরের প্রভাব হারিয়ে যায় রাতে
আপনার প্রভাব স্থির থাকে দিবা কিংবা রাতে
কতো অন্যায় আবদার করেছি আপনার সাথে
সয়ে নিয়েছেন সব, হই যদি মনঃক্ষুণ্ন তাতে।
জীবনের বাঁকে, রান্নার ফাঁকে - লিখেছি কিছু কথা
আপনাকে নিয়ে হাজার লিখলেও শেষ হবেনা খাতা।
স্বপ্ন ছিলো আপনার দুচোখে --
আপনার মতো কারিগর হয়ে মানুষ গড়বো বিদ্যালয়ে
স্বপ্ন ভেঙে করেছি খানখান -
ব্যথিত আপনার হৃদয়ের তানপুরার তান --
নির্বোধ আমি, স্রস্টা করেনি জ্ঞান দান।
আপনি কতো চেষ্টা করেছিলেন --
রাতদিন খেটেছিলেন অপদার্থকে পদার্থ বানাতে
আমি ঘুরে বেড়াতাম স্বপ্ন পাখির ডানাতে!
চাচাদের মতো গর্বে গর্বিত হতে --
পথভ্রষ্ট হয়ে গেলাম বয়স যখন আঠারো-তে।
যৌবনে করেছিলাম যে ভুল
ফোটেনি তা কখনো হয়ে ফুল
আপনার স্বপ্ন ভাঙার সেই দীর্ঘশ্বাস
বুকে বিঁধে হয়ে শূল, ক্ষমা করিবেন আব্বা আমার সেই ভুল।