সন্তানের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করি
দিনশেষে যেনো ভালো থাকে ওদের জীবন।
আমাদের বেশিরভাগ প্রার্থনা-ই কবুল হয়না
ভেসে যায় বাঁধভাঙা বানের জলে --
কখনো ভেবে দ্যাখিনি কি আছে কবুল না হওয়ার মূলে।
ঘড়ির কাঁটা একবার পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে ভাবি
ফেলে আসা সেই ভুল-ভ্রান্তিময় দিনগুলো --
মনে পড়ে সুন্নতে খাতনার একটি সপ্তাহের কথা
লওহে মাহফুজ কেঁপে ছিলো ডিজে সাউন্ডের ব্যথা।
তারপর কেটে যায় বহু বছর --
নিজেকে প্রতিষ্ঠা করি ঘুরে বিভিন্ন শহর
দ্যাখতে দ্যাখতে ফুরিয়ে যায় দীর্ঘতম প্রহর
বুকের অলিন্দে কবর দেই ব্যথার লহর।
ফুটতে থাকে বিয়ের ফুল, খুঁজতে থাকি পাত্রী
এভাবে কেটে যায় হাজার রাত্রি।
অতঃপর,দরজা এসে কড়া নাড়ে খোদার ফরজ --
প্রফুল্ল হৃদয়, পত্রপল্লবীর মতো সতেজ-সরস।
মেহেন্দির গীত গেয়ে হাতে লাগায় মেহেদী -
ভাবীরা মিলে করায় স্নান, খুশিতে চেহারা অম্লান।
খুশির জোয়ারে ভাসতে সবাই, এখানেও ডিজে বাজাই
কতো সুন্দর করে নানান ফুলে বাসর সাজায়।
সোহাগ রাত্রিতে ডিজে শুনতে শুনতে --
পরমাসুন্দরী,সুখের সারথি স্ত্রীকে করি আলিঙ্গন --
ফেরেস্তার অভিসম্পাত-অভিশাপে বেজন্মা সন্তান করে আগমন।
সুন্নতে হারাম, ফরজেও হারাম --
আয়-রোজগার, আহারেও হারাম --
নেক সন্তান কোথা হতে পাবো --
তারজন্যই তো এতো খাই-খাই, আরো খাবো।