আমি যখন ছোট ছিলাম
তখন আমাদের গোলাভরা ধান হতো
ধান কাটতে ময়মনসিং থেকে দলবেঁধে কামলা আসতো
অনেকেই তাদের ময়মনসিংঙ্গা বলে ডাকতো।
সকালে লাল মরিচের ভর্তা দিয়ে --
আটার রুটি খেয়ে ধান কাটা শুরু করতো --
দুপুরে এবং রাতে গরম ভাত, ডাল আর মাছ --
তখন আটার রুটি ছিলো গরীব বেঁচে থাকার উপহার।
সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন হয়েছে --
আটার রুটি এখন শোভা পাচ্ছে ধনীর থালায় --
গরীবের স্বপ্ন দ্যাখাও এখন বারণ --
গগনচুম্বী দাম এর কারণ।
আগে আটা দিয়ে মা কতকিছু তৈরী করতো --
তুলতুলে আটায় গোলগোলা, খেয়ে হতো মন ভুলা
কুরবানির মাংসের ঝুলে হতো পরটা --
ধনিয়াপাতা মিশিয়ে পুইনে বানাতো জর্জরি
আহা কি স্বাদ, সাথে থাকতো লাউয়ের চচ্চড়ি।
যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরাতো --
আটা দিয়ে জাউ রেঁধে ছেলেপুলেদের খাওয়াতো
তখনকার কথিত জমিদারেরা তাচ্ছিল্যতার দৃষ্টিতে তাকাতো।
আটা এখন তাদের ভোজন-সুজন
আটার তরে গরীবের কেবলই রোদন।
আগের দিন খেয়েছে বাঘে --
আগের মতো আর শীত লাগেনা মাঘে--
গরীবের খাবার ধনীদের থালে
প্রজন্ম আরো কতকিছুই দ্যাখবে কালে-কালে।