সব দোষ এই তিন আঙ্গুল কপালের
কপালে লিখা ছিলো বলেই তোমার সাথে ---
আমি জমিয়ে প্রেম করেছিলাম
ঘুরতে গিয়েছিলাম পার্কে, সমুদ্র সৈকতে --
ঝর্ণাধারায় গিয়েছিলাম স্নানে।
কপালে লিখা ছিলো বলেই ভিজতে গিয়েছিলাম
রিনিঝিনি বৃষ্টিতে, শীতের কুয়াশায় --
মুখোমুখি বসেছিলাম রেস্টুরেন্টে, কফি হাউজে।
সব দোষ এই তিন আঙ্গুল কপালের
কপালে লিখা ছিলো বলেই আমরা একত্রিত হ'য়েছিলাম
প্রমোদে মেতে কাটিয়ে ছিলাম কিছুটা সময়।
কপালে লিখা ছিলো বলেই বিচ্ছিন্ন হ'য়েছি --
এতোটা কাল প্রলাপ বকেছি পাগলের।
মাতৃত্বের স্বাদ নিয়েছিলে, জন্ম দিয়েছিলে সন্তান
কপালে লিখা ছিলো বলেই সন্তান মাতৃহারা হয়েছে
ভালোবাসাহীন দরিদ্র হ'য়েছে হৃদয়।
সব দোষ-তো এই কপালের
কপালের লিখা পরিবর্তন করার সামর্থ্য যদি থাকতো
চোখের পলকে খারাপ গুলি ভালোতে রুপান্তরিত করে নিতাম।
এই কপালের উপর দোষের কলঙ্ক চাপিয়ে --
আমরা হাফ ছেঁড়ে বাঁচতে চাই
নিস্তার পেতে চাই নিজেদের বোকামি থেকে।
আমরা সৃষ্টিকর্তার বড়োই অদ্ভুত সৃষ্টি
নির্দোষকে দোষী বানিয়ে --
পুরো অপরাধ চাপিয়ে দেয় তার ঘাড়ে
নিজেকে অপরাধের দায় থেকে মুক্ত করতে চাই।
যখন ব্যর্থ হয় তখন সবকিছু তকদির মেনে --
ভাগ্য এবং নিয়তির উপর ছেড়ে
অদৃষ্ট আর নসিব বলে মেনে নেই।