তাক ধিন তা ধাই-ধাই
কোথায় যাচ্ছেন ভাই?
থাকবো না আর এই দেশে
ঘুরবো বিশ্ব পথিক বেশে।
অভিশপ্তময় বেকার জীবন
করতে পারিনি বিয়ে --
সরকার তার উপর চাপিয়ে দিলো
মরতে হবে করের টাকা দিয়ে।
তাক ধিন তা ধাই-ধাই
করের টাকা কোথায় পাই।
খাবো না আর বাবা-র অন্ন
পরিধান করবোনা আর বাবা-র বস্ত্র
অধিকার আদায়ে হাতে তুলে নেবো অস্ত্র
অলিতে-গলিতে গড়ে তুলবো বাহিনী সশস্ত্র।
জঙ্গলে বেঁধে কুটির, সঙ্গ দিবো নটীর
ব্যভিচারের ফতোয়া দিলে কুপ দেবো বটির।
কে আছে বশে, কষ্টিপাথর দিয়ে ঘষে
যাদের চাকুরী দিয়েছিলো সরকার
তাদের জন্য এমন সরকার বারবার দরকার।
তাক ধিন তা ধাই-ধাই
যাদের আছে তাদের আরো চায় --
খেকোদের কেবল খায়-খায় --
ছেড়ে যাচ্ছি শহর-নগর, অলিগলি-রাজপথ, মাতৃতুল্যা গাঁয়
জনশূন্যে, নির্জন প্রান্তরে নেবো একটু ঠাঁই।
ধনীদের মুক্ত আকাশ, বেকারের নাভিশ্বাস
বাদ দিয়ে আটা-রুটি-ভাত, খেতে হবে দুর্বাঘাস।
বেকারত্ব এক অভিশাপ,তাঁর উপর বাড়তি জঞ্জাল
কিসের উপর দিয়ে ভর, পরিশোধ করবো এ কর
নুন আনতে ফুরায় পান্তা, খুঁজে নিতে হবে অবৈধ ধান্দা।
পড়াশোনা করে করেছি গলদ
দাউদাউ করে পোড়াতে হবে সনদ
খোঁজে নিতে মঙ্গল, ধরতে হবে পুর্বপুরুষের লাঙ্গল
চাকুরির বাজার খেয়েছে হাঙর।
তাক ধিন তা ধাই-ধাই
জনগণের মাথায় বন্দুকের নালি ঠেকিয়ে --
কোটি টাকা কামিয়েছে জনতার সেবক হারুন ভাই।
হারুন ভাইয়ের মনে ছিলোনা ডর
পালিয়ে যাবে সরকারের কাঁধে দিয়ে ভর
বীরের মতো হবে পগারপার
এমন কামান কামিয়েছে,ধারেনা ক্ষমতার ধার।
কতো হারুন ভাই রয়েছে অগোচরে
বেরিয়ে আসবে সব ক্ষমতার পালাবদল হলে।
তাক ধিন তা ধাই-ধাই
এই বাজেট পুড়িয়ে ওড়াবো ছাঁই।
বাবা-র পকেট থেকে দিতে পারবোনা কর
দ্যাখবো ক্যামনে পালাও, কোন তরীতে দিয়ে ভর।