চারিদিকে যখন ইদের আনন্দে মাতোয়ারা
তখন তুমি ঘরের কোনে বসে আছো হয়ে মনমরা
পতি হারানোর ভয় বুকে, বিষন্নতার ছাপ মুখে ---
তোমার সুখ,স্বপ্ন,আশা,আকাঙ্খা যেনো মরছে ধুঁকে।
কোন এক শীতের রাতে --
কুয়াশার চাদর ঢেকে দিয়েছিলো দূর্বাঘাসের নগ্ন বুক
পেঁচারা পালকের ভেতর লুকিয়েছিলো মুখ --
তোমার নাকে নাকফুল পরিয়ে বলেছিলো --
অদ্য হতে তুমি নারী, সহমর্মি, সহধর্মিণী --
ক্ষমা করে আমার ক্ষুদ্র ভুল, খুব যত্ন করে রাখিও এ ফুল।
এ কেবল একটি ফুল ছিলোনা --
ফুলের ভাঁজে ভাঁজে গাঁথা ছিলো রক্তিম স্বপ্ন --
জীবনের গান, ভালোবাসার স্নিগ্ধ ছোঁয়া --
বেখেয়ালিপনায় হারিয়ে দিলে ভালোবাসার নাকফুল।
শুননি মা,চাচী,দাদীদের মুখে --
নাকের ফুল হারালে জীবনসঙ্গীর আয়ু কমে --
দুঃখদুর্দশার জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ে সোনার সংসারে।
রত্ম ভেবে যদি নিতে যত্ন --
হারাতো কি কভু সোনার ফুল --
একুল-ওকুল হারিয়ে দু'কুল --
বুঝবে তুমি যখন বুকে বিঁধবে শূল।
মরদ যদি থাকে ভালো, দূর হয় আঁধার-কালো --
অন্ধকারে জ্বালে আলো; --
জীবন রাখে বাজি সুখের সওদায় --
বিলিয়ে দেয় যৌবন অবরুদ্ধ সুখের নিষ্কৃতির মওকায়।
এটি কি কেবল সোনা মুড়ানো একটি ফুল ছিলো
এতে মাখানো ছিলো ---
লোহিত রক্ত পানি করা গায়ের ঘাম --
প্রতিটি পাপড়িতে লুকানো ছিলো --
অবহেলায় জাগিয়ে তুললে দুঃস্বপ্ন।