যখন দ্যাখি শিক্ষিতরা মূর্খদের করে তোষামোদ
কলিজা ফেটে রক্ত বেরু, মূর্খের গলে ফুলের গেঁড়ু
গাঁও থেকে শহর, বিষাদময় প্রহর --
নিত্য নতুন দ্যাখি, ভালোই আছে তোষামোদকারী।
তেলে যদি হয় কাম --
পরিশ্রম করে ক্যানো ঝরাতে যাবে ঘাম --
তেলে উন্নতি -সমৃদ্ধি, তেলে-ই প্রবৃদ্ধি --প্রতিপত্তি
তেলের কাছে বিলুপ্ত জ্ঞানীর ক্ষুরধার বুদ্ধি।
সকাল-দুপুর-সাঁঝে, মরি আমি লাজে --
যখন দ্যাখি মোসাহেবির পদলেহন।
গগনচুম্বী জ্ঞান, সত্যের ধ্যান তেলের কাছে অচল
চাটুকারিতার বাজারে সব অচল মাল হয়েছে সচল।
বল, বিদ্যা, ধনের অসাধ্য যা --
তেল সিদ্ধ করতে পারে তা---
তাই বলবান, বিদ্বান, ধনবান মিলে --
জ্ঞানহীন মূর্খের নিতম্ব চুমে।
চুম্বন যদি দেওয়া যায় কষে, তেল যদি মারা যায় ঘষে
বসকে আনা যায় বশে, কথা বলা যায় রসে
ব্যবসায় মিলে আশাতীত মওকা
অযোগ্য হলেও চাকুরীতে পদোন্নতি।
নেতার বিশ্বস্ত সৈনিক, দ্যাখি দৈনিক --
নিতম্ব ঘষে করে দেয় লাল, নেতা ভরে দেয় সৈনিকের থাল।
ব্রিটিশের নিতম্ব ঘষে --
মীর জাফর বাংলার মসনদে বসে --
তোষামোদ করতে পারেনি বলে,গেয়ে সত্যের গান
সিরাজুদ্দৌলা দিয়েছিলো তাঁর নির্মল প্রাণ
ইতিহাসের পাতায় হয়ে আছেন মহান।
সোনার বাংলার পাতি নেতা --
পা চেটেপুটে রাতারাতি হয়ে যায় --
রাজপথের তুখোড়-সংগ্রামী, লড়াকু নেতা --
আন্দোলন সংগ্রামের অগ্র-সৈনিক --
গাঁও থেকে শহর দ্যাখছি তেলের তেলেসমাতি দৈনিক।
বাড়ছে দৈনিক চাটুকার, বাটপার, তল্পিবাহক
বাড়ছে না কেবল ক্ষুদিরাম, হামজা বেনদেলাজ।
ক্ষমতা নামের সোনার হরিণ থাকবে যতদিন
পদলেহন পৃথিবীতে রইবে ততদিন।